কিডনি ব্যথার লক্ষণ 100%
কিডনি ব্যথার লক্ষণ
কিডনি ব্যথার লক্ষণ 100%
লক্ষণ
কিডনি ব্যথার লক্ষণ 2024
প্রস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়া, ঘন ঘন প্রস্রাব, প্রস্রাব লাল হওয়া, প্রস্রাবে দুর্গন্ধ, কোমরের দুই পাশে ও তলপেটে প্রচণ্ড ব্যথা, শরীর-মুখ ফোলা ইত্যাদি লক্ষণ কিডনি রোগের সংকেত বহন করে। কয়েক মাস বা বছর চিকিৎসার পরও কিডনি রোগ ভালো না হলে এবং কিডনির কার্যক্ষমতা কমতে থাকলে সেটাকে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ বলে। কিডনি ব্যথার লক্ষণ 100%
কিডনি ব্যথার লক্ষণ:
কিডনি ব্যথার লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
কিডনি ব্যথা প্রায়ই অন্য কোনো কারণে, যেমন পেশির টান বা পেটের সমস্যার কারণে হতে পারে। তাই, কিডনির সমস্যা বুঝতে শুধু ব্যথার উপর নির্ভর করা উচিত নয়। কিডনি ব্যথার সাথে অন্যান্য লক্ষণও দেখা দিতে পারে, যেমন:
- পিছনে বা পাশে ব্যথা: কিডনি ব্যথা সাধারণত পিছনে, পাঁজরের নিচে বা পাশে অনুভূত হয়। এই ব্যথা তীব্র বা হালকা হতে পারে এবং আসতে-যাতে করতে পারে।
- প্রস্রাবে সমস্যা: কিডনি সমস্যায় প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়তে বা কমতে পারে, রঙ পরিবর্তন হতে পারে (লাল, গোলাপি বা কালো), প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া হতে পারে বা প্রস্রাবে রক্ত দেখা যেতে পারে।
- জ্বর: কিডনি সংক্রমণ হলে জ্বর দেখা দিতে পারে।
- শরীর ফুলে যাওয়া: কিডনি যদি সঠিকভাবে কাজ না করে তাহলে শরীরে পানি জমে ফুলে যাওয়া দেখা দিতে পারে। চোখ, পা বা পেট ফুলে যাওয়া এর সাধারণ লক্ষণ।
- ক্লান্তি: কিডনি যখন সঠিকভাবে কাজ করে না, তখন শরীরে রক্তশূন্যতা হতে পারে এবং ক্লান্তি অনুভূত হতে পারে।
- অরুচি এবং বমি: কিডনি সমস্যায় অরুচি এবং বমি হতে পারে।
- মাথাব্যথা: কিডনি সমস্যায় মাথাব্যথা হতে পারে।
কিডনি ব্যথার অন্যান্য কারণ:
- কিডনি পাথর: কিডনিতে পাথর হলে তীব্র ব্যথা হতে পারে।
- কিডনি সংক্রমণ: কিডনি সংক্রমণ হলে জ্বর, ঠান্ডা, এবং পিঠে ব্যথা হতে পারে।
- কিডনির টিউমার: কিডনির টিউমার হলে ধীরে ধীরে ব্যথা বাড়তে পারে।
- কিডনির আঘাত: কিডনিতে আঘাত লাগলে তীব্র ব্যথা হতে পারে।
কখন ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন:
- যদি আপনার পিঠে বা পাশে তীব্র ব্যথা হয়।
- যদি আপনার প্রস্রাবে রক্ত দেখা যায়।
- যদি আপনার প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায় বা বেড়ে যায়।
- যদি আপনার জ্বর হয় এবং শরীর ফুলে যায়।
- যদি আপনি ক্লান্তি অনুভব করেন।
কিডনি ব্যথা কীভাবে নির্ণয় করা হয়:
- রক্ত পরীক্ষা: রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে কিডনির কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা হয়।
- প্রস্রাব পরীক্ষা: প্রস্রাব পরীক্ষার মাধ্যমে প্রস্রাবে রক্ত, ব্যাকটেরিয়া বা অন্যান্য অস্বাভাবিক পদার্থ আছে কিনা তা পরীক্ষা করা হয়।
- ইমেজিং পরীক্ষা: ইমেজিং পরীক্ষার মাধ্যমে কিডনির আকার, আকৃতি এবং কোনো অস্বাভাবিক বৃদ্ধি আছে কিনা তা দেখা যায়।
কিডনি ব্যথার চিকিৎসা:
কিডনি ব্যথার চিকিৎসা এর কারণের উপর নির্ভর করে। কিছু ক্ষেত্রে ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়, আবার কিছু ক্ষেত্রে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।
প্রতিরোধ:
- প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
- সুষম খাদ্য খান।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
মনে রাখবেন:
কিডনি ব্যথা একটি গুরুতর সমস্যা হতে পারে। তাই, যদি আপনার কিডনি ব্যথার কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন!
বিস্তারিত জানতে আপনি নিম্নলিখিত লিঙ্কগুলো দেখতে পারেন:
- কোমরে ব্যথা মানেই কিডনির সমস্যা? – প্রথম আলো
- কিডনির সমস্যা আছে কি না, কীভাবে বুঝবেন – প্রথম আলো: https://www.prothomalo.com/lifestyle/health/y6idw3xajm