১:মার্ক জাকারবার্গ আমেরিকান কম্পিউটার প্রোগ্রামার
মার্ক জাকারবার্গ ইংরেজি: Mark Elliot Zuckerberg; জন্ম: ১৪ মে, ১৯৮৪) একজন মার্কিন কম্পিউটার প্রোগ্রামার ও সফটওয়্যার ডেভেলপার। তার পুরো নাম মার্ক এলিয়ট জাকারবার্গ, যার আসল পরিচিতি হলো জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে। তিনি ফেসবুকের চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং নিয়ন্ত্রক অংশীদার।
২:ইলন মাস্ক
ইলন রিভ মাস্ক একজন দক্ষিণ আফ্রিকান প্রকৌশলী ও প্রযুক্তি খাতে উদ্যোক্তা তিনি মহাকাশ ভ্রমণ সংস্থা স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা, বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান টেসলা মোটরসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও পণ্য প্রকৌশলী, সোলারসিটির চেয়ারম্যান, দি বোরিং কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা নিউরালিংকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, ওপেনএআইয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান এবং পেপ্যালের একজন সহ-প্রতিষ্ঠাতা। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এছাড়াও তিনি হাইপারলুপ নামক কল্পিত উচ্চ গতিসম্পন্ন পরিবহন ব্যবস্থার উদ্ভাবক। ২০১৮ সালে ইলন মাস্ক ‘ফেলো অব দি রয়্যাল সোসাইটি’ নির্বাচিত হন। একই বছর ফোর্বস সাময়িকী ‘বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তি’ তালিকায় ২৫ তম স্থানে তার নাম ঘোষণা করে। ২০১৯ সালে ফোর্বসের ‘আমেরিকার সবচেয়ে উদ্ভাবনী নেতৃত্ব’ তালিকায় যৌথভাবে প্রথম স্থান অধিকার করেন। ২০২১ সালের ৮ই জুন পর্যন্ত ইলন মাস্ক বিশ্বের ২য় বিলিয়নিয়ার এবং তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ইলন মাস্কের মা একজন কানাডিয়ান ও বাবা একজন দক্ষিণ আফ্রিকান। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়ায় বড় হয়েছেন ১৯৮৮ সালে তিনি সতের বছর বয়সে কুইনস বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে কানাডা গমনের পূর্বে প্রিটোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অল্প সময়ের জন্য লেখাপড়া করেছিলেন।[২০] দুই বছর কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার পর পেন্সিলভ্যানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত হন এবং অর্থনীতি ও পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন।
৩:বিল গেটস
বিল গেটস উইলিয়াম হেনরি গেটস তৃতীয় (জন্ম ২৮ অক্টোবর, ১৯৫৫) একজন আমেরিকান ব্যবসায়িক মহারথী, সফটওয়্যার বিকাশকারী, বিনিয়োগকারী, লেখক এবং সমাজসেবী। তিনি মাইক্রোসফ্ট কর্পোরেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। মাইক্রোসফ্টে কর্মজীবন চলাকালীন গেটস চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও), প্রেসিডেন্ট এবং প্রধান সফটওয়্যার আর্কিটেক্টের পদে ছিলেন এবং মে ২০১৪ অবধি বৃহত্তম স্বতন্ত্র শেয়ারহোল্ডারও ছিলেন। তিনি ১৯৭০ ও ১৯৮০ এর দশকের মাইক্রোকম্পিউটার বিপ্লবের অন্যতম সেরা উদ্যোক্তা এবং পথিকৃৎ।
গেটস ওয়াশিংটনের সিয়াটলে জন্মগ্রহণ করেন এবং বেড়ে ওঠেন। ১৯৭৫ সালে তিনি নিউ মেক্সিকো এর আলবুকার্কে শৈশবের বন্ধু পল অ্যালেনের সাথে মাইক্রোসফ্টের সহ-প্রতিষ্ঠা করেছিলেন; যা পরবর্তীতে বিশ্বের বৃহত্তম ব্যক্তিগত কম্পিউটার সফ্টওয়্যার সংস্থা হয়ে উঠে।২০০০ সালের জানুয়ারিতে সিইও হিসাবে পদত্যাগ না করা পর্যন্ত গেটস চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে কোম্পানির নেতৃত্বে ছিলেন, তবে সিইও হিসাবে পদত্যাগ করার পরও তিনি চেয়ারম্যান ছিলেন এবং প্রধান সফটওয়্যার আর্কিটেক্ট হিসেবে নিযুক্ত হন। নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে তিনি তার ব্যবসায়িক কৌশলগুলির জন্য সমালোচিত হয়েছিলেন, যা প্রতিযোগী বিরোধী হিসাবে বিবেচিত হয়। আদালতের অসংখ্য রায় এই মতামত বহাল রেখেছে০০৬ সালের জুন মাসে গেটস ঘোষণা করেন তিনি মাইক্রোসফ্টে খণ্ডকালীন ভূমিকায় কাজ এবং তিনি ও তার স্ত্রী মেলিন্ডা গেটস ২০০০ সালে যে বেসরকারী দাতব্য ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন তাতে পূর্ণকালীন কাজ করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন। তিনি ধীরে ধীরে তার দায়িত্বগুলি রে ওজি এবং ক্রেগ মুন্ডির কাছে স্থানান্তরিত করেন।[১১] তিনি ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে মাইক্রোসফ্টের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং সদ্য নির্ধারিত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সত্য নাদেলাকে সমর্থন করার জন্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসাবে একটি নতুন পদ গ্রহণ করেন সালের মার্চ মাসে গেটস জলবায়ু পরিবর্তন, বিশ্ব স্বাস্থ্য ও উন্নয়ন, এবং শিক্ষাসহ তার জনহিতকর প্রচেষ্টায় মনোনিবেশ করার জন্য মাইক্রোসফ্ট এবং বার্কশায়ার হ্যাথওয়েতে তার বোর্ডের অবস্থান ছেড়ে দেন। ১৯৮৭ সাল থেকে, তিনি বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের ফোর্বসের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। ১৯৯৫ থেকে ২০১৭ অবধি তিনি চারবছর বাদে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির ফোর্বস খেতাব অর্জন করেছিলেন।[১৬] ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও জেফ বেজোস গেটসকে সরিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী হয়েছিলেন। তখন তার আনুমানিক নিট সম্পত্তির মূল্য $90.6 বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল এবং গেটসের নিট সম্পত্তি ছিল $৮৯.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।[১৭] ২০২১ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত, গেটসের মোট মূল্য ছিল ১৬৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা তাকে বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি বানিয়েছে।[১৮] পরবর্তীকালে তার কর্মজীবনে এবং ২০০৮ সালে মাইক্রোসফ্ট ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে গেটস বহু জনহিতকর কাজ চালিয়ে যান। তিনি বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিভিন্ন দাতব্য সংস্থাগুলি এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণা কর্মসূচিকে প্রচুর পরিমাণে অর্থ প্রদান করেছেন, যা বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনকে বিশ্বের বৃহত্তম বেসরকারী দাতব্য সংস্থা হিসাবে স্বীকৃতি দান করেছে।[১৯] ২০০৯ সালে, গেটস এবং ওয়ারেন বাফেট দ্য গিভিং প্লেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যার মাধ্যমে তারা এবং অন্যান্য ধনকুবেররা তাদের সম্পদের কমপক্ষে অর্ধেক দান করার প্রতিশ্রুতি দেয়।
৪:মুকেশ আম্বানি
মুকেশ ধীরুভাই আম্বানি (জন্ম ১৯ এপ্রিল ১৯৫৭) হলেন একজন ভারতীয় শতকোটিপতি ব্যবসায়ী। তিনি ভারতীয় কোম্পানি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এর সভাপতি ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ফোর্বস এ দেখা গেছে তিনি প্রায় ১১ হাজার ৭৮০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক, এছাড়াও তিনি এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এবং বিশ্বের নবম তম ধনী ব্যক্তি
ব্যক্তিগত জীবন
মুকেশ ১৯৮৫ সালে নীতা আম্বানির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুই পুত্র ও এক কন্যা রয়েছে। বড় পুত্র আকাশ আম্বানি (১৯৯১) এবং ছোট পুত্র অনন্ত আম্বানি (১৯৯৫) রিলায়েন্স জিও ইনফোকমের কৌশলগত বিভাগের প্রধান। কন্যা ইশা আম্বানি জিও ও রিলায়েন্স রিটেলের বোর্ড মেম্বার। তারা মুম্বইয়ে ব্যক্তিগত ২৭ তলা দালান “আন্তিলিয়া”য় বসবাস করেন। বাড়িটির মূল্য ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বাড়িটিকে এখন পর্যন্ত নির্মিত সবচেয়ে ব্যয়বহুল কয়েকটি বাড়ির একটি বলে উল্লেখ করা হয় ০১৭ সালের মার্চে রাজদীপ সারদেশাইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুকেশ বলেন তার প্রিয় খাদ্য ইদলি সামবার এবং তার প্রিয় রেস্তোরাঁ হল মুম্বইয়ের কিং সার্কেলের মহীশুর ক্যাফে। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৭ সালে ইউডিসিটির ছাত্র থাকাকালীন মুকেশ মহীশুর ক্যাফেতে নিয়মিত খেতে যেতেন ৩১ মার্চ ২০১২ আর্থিক বছর সমাপ্তিকালে মুকেশ রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রধান হিসেবে তার বার্ষিক পারিশ্রমিক ২৪০ মিলিয়ন রুপী ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই আর্থিক বছরে রিলায়েন্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মোট পারিশ্রমিক বৃদ্ধি পেলেও তিনি তার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। এর ফলে তার বেতন টানা চতুর্থ বছরের মত ১৫০ মিলিয়ন রুপীতে রয়ে যায়।
৫: জেফ বেজোস
জেফরি প্রেস্টন জেফ বেজোস একজন মার্কিন ইন্টারনেট উদ্যোক্তা এবং বিনিয়োগকারী। তিনি একজন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা যিনি ই-কমার্সের বৃদ্ধিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন। তার নেতৃত্বে আমাজন.কম ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এর বৃহত্তম খুচরা বিক্রেতায় পরিণত হয়। ২০১৩ সালে তিনি দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট ক্রয় করেন।
অ্যামাজন কোম্পানি প্রতিষ্ঠাতা: জেফ বেজোস
১৯৯৪ সালের বসন্তে, বেজোস পড়েছিলেন যে ওয়েব ব্যবহার বছরে ২৩০০% হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং শেষ পর্যন্ত একটি অনলাইন বইয়ের দোকান স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি এবং তার তত্কালীন স্ত্রী ম্যাকেনজি স্কট ডি ই শায় তাদের চাকরি ছেড়ে যান এবং নিউইয়র্ক সিটি থেকে সিয়াটলে ক্রস-কান্ট্রি ড্রাইভে তার ব্যবসায়িক পরিকল্পনা লেখার পরে ১৯৯৪ সালের ৫ জুলাই ওয়াশিংটনের বেলভ্যুতে একটি ভাড়া নেওয়া গ্যারেজে অ্যামাজন প্রতিষ্ঠা করেন । হেলমে বেজোস এবং স্কট এর অপারেশনে অবিচ্ছেদ্য ভূমিকা গ্রহণের সাথে-লেখার চেকগুলি, বইগুলির উপর নজর রাখা, এবং সংস্থার প্রথম ফ্রেইট চুক্তিগুলির সাথে আলোচনার সাথে-এই গ্যারেজ-চালিত অপারেশনটি তাত্পর্যপূর্ণভাবে বাড়ার জন্য ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছিল। সিয়াটলে বসতি স্থাপনের আগে বেজোস ট্যাক্স প্রদান এড়াতে সান ফ্রান্সিসকো -র কাছে একটি ভারতীয় রিজার্ভেশনে তাঁর সংস্থা স্থাপনের তদন্ত করেছিলেন। বেজোস প্রথমে তার নতুন সংস্থা ক্যাডাব্রার নাম রেখেছিল তবে পরে দক্ষিণ আমেরিকার অ্যামাজন নদীর পরে নামটি পরিবর্তন করে অ্যামাজনে পরিণত হয়েছিল, কারণ নামটি বর্ণমালার শুরুতে এ চিঠি দিয়ে শুরু হয়েছিল। সেই সময়ে, ওয়েবসাইটের তালিকাগুলি বর্ণমালা করা হয়েছিল, সুতরাং গ্রাহকরা অনলাইন অনুসন্ধানগুলি পরিচালনা করলে “এ” দিয়ে শুরু করা একটি নাম শীঘ্রই উপস্থিত হবে। এছাড়াও, তিনি “অ্যামাজন” হিসাবে বিশ্বের বৃহত্তম নদীর নাম হিসাবে বিবেচনা করেছিলেন যা তিনি আশা করেছিলেন যে বিশ্বের বৃহত্তম অনলাইন বইয়ের দোকানে পরিণত হবে তার জন্য উপযুক্ত। তিনি অ্যামাজনে বিনিয়োগ হিসাবে তাঁর পিতামাতার কাছ থেকে আনুমানিক 300,000 ডলার গ্রহণ করেছিলেন। তিনি অনেক প্রাথমিক বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করেছিলেন যে অ্যামাজন ব্যর্থ হবে বা দেউলিয়া হয়ে যাবে এমন 70% সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও অ্যামাজন মূলত একটি অনলাইন বইয়ের দোকান ছিল, বেজোস সর্বদা অন্যান্য পণ্যগুলিতে প্রসারিত করার পরিকল্পনা করেছিল। বেজোস অ্যামাজন প্রতিষ্ঠার তিন বছর পরে, তিনি এটিকে প্রাথমিক পাবলিক অফার (আইপিও) দিয়ে প্রকাশ করেছিলেন। ফরচুন এবং ব্যারনের সমালোচনামূলক প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়া হিসাবে, বেজোস বলেছেন যে ইন্টারনেটের বৃদ্ধি বর্ডারস এবং বার্নস এবং নোবেলের মতো বৃহত্তর বইয়ের খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে প্রতিযোগিতা ছাড়িয়ে যাবে।
1998 সালে, বেজোস সংগীত এবং ভিডিওর অনলাইন বিক্রয়ের জন্য বৈচিত্র্যযুক্ত এবং বছরের শেষের দিকে তিনি বিভিন্ন অন্যান্য ভোক্তা পণ্য অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সংস্থার পণ্যগুলি প্রসারিত করেছিলেন। বেজোস ছোট প্রতিযোগীদের আক্রমণাত্মক অধিগ্রহণের জন্য অর্থায়নের জন্য 1997 সালের ইক্যুইটি অফার চলাকালীন উত্থাপিত $ 54 মিলিয়ন ব্যবহার করেছিলেন। 2000 সালে, বেজোস ব্যাংকগুলি থেকে 2 বিলিয়ন ডলার ধার নিয়েছিল, কারণ এর নগদ ব্যালেন্সগুলি কেবল $ 350 মিলিয়ন ডলারে নেমেছে। ২০০২ সালে, বেজোস অ্যামাজনকে অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস চালু করতে পরিচালিত করেছিল, যা আবহাওয়া চ্যানেল এবং ওয়েবসাইট ট্র্যাফিক থেকে ডেটা সংকলন করেছিল। ২০০২ সালের শেষের দিকে, অ্যামাজন থেকে দ্রুত ব্যয় যখন রাজস্ব স্থবির হয়ে পড়ে তখন এটি আর্থিক সঙ্কট সৃষ্টি করে। সংস্থাটি প্রায় দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার পরে, তিনি বিতরণ কেন্দ্রগুলি বন্ধ করে দিয়েছিলেন এবং অ্যামাজন কর্মীদের 14% ছাড়িয়েছিলেন। 2003 সালে, অ্যামাজন আর্থিক অস্থিরতা থেকে প্রত্যাবর্তন করেছিল এবং 400 মিলিয়ন ডলার লাভ করেছে। ২০০৮ সালের একটি টাইম প্রোফাইল অনুসারে, বেজোস এমন একটি ডিভাইস তৈরি করতে চেয়েছিলেন যা ভিডিও গেমগুলির অভিজ্ঞতার অনুরূপ পড়তে “প্রবাহের অবস্থা” অনুমতি দেয়। ২০১৩ সালে, বেজোস অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসের পক্ষে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ) এর সাথে $ 600 মিলিয়ন ডলার চুক্তি অর্জন করেছিল। সেই বছরের অক্টোবরে, অ্যামাজন বিশ্বের বৃহত্তম অনলাইন শপিং খুচরা বিক্রেতা হিসাবে স্বীকৃত হয়েছিল।
৬:অ্যামেচিও ওর্তেগা
অ্যামেচিও ওর্তেগা একজন স্প্যানিশ ফ্যাশন নির্বাহী এবং ইন্ডিটেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। ইন্ডিটেক্স, ইন্ডিটেক্স ব্র্যান্ডের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান জারা নামেই বেশি পরিচিত। তিনি ২০১৩ সালের প্রথম দিকে $৫৭ বিলিয়ন নগদ সম্পত্তি নিয়ে প্রভাবশালী ম্যাগাজিন ফোর্বসের শীর্ষ ধনী তালিকায় তৃতীয় স্থানটি দখল করেন। ২০১৫ সালে অ্যামেচিও ওর্তেগা $৬৪.৫ বিলিয়ন নগদ সম্পত্তি নিয়ে ফোর্বসের শীর্ষ ধনী তালিকায় চতুর্থ স্থানটি দখল করেন ওর্তেগার জন্ম ১৯৩৬ সালে, নর্থ স্পেনে। বাবা রেলওয়ে বিভাগে শ্রমিক ছিলেন। মা বিভিন্ন বাসায় কাজ করে অর্থ উপার্জন করতেন। এমনই দরিদ্র পরিবারে বেড়ে উঠেছেন ওর্তেগা। কিন্তু পড়াশোনায় ছোটবেলা থেকেই আগ্রহী ছিলেন তিনি। মাত্র ১৩ বছর বয়স থেকেই অর্থের অভাবে বিভিন্ন ধরনের শ্রমিকের কাজ করতে হযয়েছিল। ‘জারা’ ব্র্যান্ডের মাধ্যমে পুরো বিশ্বকে নতুন ডিজাইনের পোশাক উপহার দিয়েছেন আর বিনিময়ে পারিশ্রমিক হিসেবে অর্থ উপার্জন করে বিল গেটসের পরের স্থানেই নিজের জায়গা করে নিয়েছেন ওর্তেগা ১৯৭৫ সালে লা চরুনা শহরে সর্বপ্রথম ‘জারা’ নামে একটি শোরুম খোলেন। ১৯৮৮ সালে পর্তুগালে, ১৯৮৯ সালে আমেরিকায় শোরুম খোলেন। ২০১২ সালের অক্টোবরের হিসাব অনুযায়ী জারার সারা বিশ্বে এক হাজার ৭২১টি শোরুম আছে।
৭:মাইকেল ডেল
মাইকেল সল ডেল : Michael Dell) (জন্ম: ২৩শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৫) একজন মার্কিন শিল্পোদ্যোক্তা যিনি ডেল ব্র্যান্ডের কম্পিউটার কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা। ফোর্বস ৪০০-এর তালিকা (২০১০) অনুযায়ী তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম সম্পদশালী ব্যক্তিদের একজন।তার আনুষ্ঠানিক পরিচয় তিনি ডেল ইনকরপোরেশনের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী। ছোটবেলায় জমানো ১ হাজার ডলার মূলধন নিয়ে ব্যবসায় শুরু করেন তিনি। ১৯৮৪-এ কম্পিউটার উৎপাদনের লাইসেন্স গ্রহণ করে তিনি। মাত্র ২৪ বছর বয়সে প্রধান নির্বাহী হিসেবে যোগ দেন নিজের প্রতিষ্ঠানেই। মাত্র ৪৬ বছর বয়সে (২০১১) তার সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৭ বিলিয়ন ডলার। মাত্র দুই যুগে তিনি ডেলকে পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় কম্পিউটার ব্র্যান্ড-এ উন্নীত করেছেন তিনি। জন্ম ও ছোটবেলা ১৯৬৫ সালের, ২৩ ফেব্রুয়ারি টেক্সাসের হিউস্টনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পিতার নাম অ্যালেক্সেন্ডার ডেল এবং মায়ের নাম লরেন চার্লোট ডেল। ডেলের বাবা মা চাইতেন তিনি চিকিৎসাবিদ্যায় শিক্ষা লাভ করবেন। কিন্তু যার স্বপ্ন অনেক বড় কিছু করার, তার শিক্ষা আর পেশা কখনই বই এর পাতায় বন্দী থাকে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে পরার সময় নিজের হোস্টেলের রুম থেকেই তার কমপিউটার ব্যবসার যাত্রা শুরু হয়।কিশোর বয়সে খণ্ডকালীন চাকরি করে নানা রকম ইলেক্ট্রনিক্সের যন্ত্রাংশ কিনতেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে ডেল নিজের অর্থে একটি অ্যাপলের কমপিউটার কেনেন। কেনার পরপরই এর সব যন্ত্রাংশ খুলে দেখেন কীভাবে এটা তৈরি করা হল।
৮:কার্লোস স্লিম
কার্লোস স্লিম হেলু (জন্ম:২৮শে জানুয়ারি, ১৯৪০) একজন মেক্সিকান টেলিকমুনিকেশন ব্যাবসায়ী। ১১ই মার্চ, ২০১০ সালে তিনি ৫৩.৫ বিলিয়ন ইউএস ডলার নিয়ে পৃথিবীর সর্বোচ্চ ধনী ব্যক্তি নির্বাচিত হন[৩]। কার্লোস স্লিম এর পিতা একজন অভিবাসী লেবানিজ,যিনি ১৯০২ সালে কপর্দকহীন অবস্থায় উস্মানীয় সাম্রাজ্য থেকে পালাতে মেক্সিকোতে আসেন এবং কার্লোস স্লিম এর মা একজন দ্বিতীয় প্রজন্মের লেবানিজ-মেক্সিকান
৯:স্টিভ বলমার
স্টিভ বলমার(জন্মঃ২৪ মার্চ ১৯৫৬ একজন আমেরিকান ব্যবসায়ী যিনি ২০০০ সালের জানুয়ারি মাস থেকে মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। ফোর্বস ৪০০ ম্যাগাজিন অনুসারে তিনি বিশ্বের একুশ তম ধনী ব্যক্তি এবং তার ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে তিনি ঘোষণা করেন যে আগামী ১২ মাসের মধ্যে মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহির পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন। এই ঘোষণা অনুযায়ী তিনি ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ৪ তারিখে তার পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন এবং সত্য নাদেলা তার পদে স্থলাভিষিক্ত হন স্টিভ বলমার যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েটে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা বেট্রিস ডরকিন ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে একজন সুইস অভিবাসী। তিনি ডেট্রয়েটে ফোর্ড মোটর কোম্পানিতে ম্যানেজার ছিলেন।[৬] তার মা হেনরি বলমার ছিলেন একজন আমেরিকান ইহুদি যার পরিবার ছিল ইরানি বংশোদ্ভূত। ১৯৭৭ সালে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফলিত গণিত ও অর্থনীতিতে বিএ ডিগ্রি লাভ করেন। স্টিভ বলমার ১৯৮০ সালের ১১ জুন মাইক্রোসফটের ব্যবসা ব্যবস্থাপক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ছিলেন মাইক্রোসফটে বিল গেটসের নিয়োগকৃত ৩০ তম কর্মী।স্টিভ বলমারকে প্রথমে ৫০,০০০ মার্কিন ডলার বেতনের প্রস্তাব দেওয়া হয় এবং সেই সাথে কোম্পানিত মালিকানার কিছু অংশও দেওয়া হয়। ১৯৮১ সালে সখন মাইক্রোসফট ইনকর্পোরেটেড হয় তখন স্টিভ বলমারের শেয়ারের পরিমাণ ছিল ৮% । তবে ২০০৩ সালে ৪% শেয়ার রেখে তিনি ৮.৩% শেয়ার বিক্রয় করে দেন এবং একই বছর কর্মীদের জন্য শেয়ারের মালিকানার ব্যবস্থা করেন।
১০:মাইকেল ডেল
মাইকেল সল ডেল (জন্ম: ২৩শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৫) একজন মার্কিন শিল্পোদ্যোক্তা যিনি ডেল ব্র্যান্ডের কম্পিউটার কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা। ফোর্বস ৪০০-এর তালিকা (২০১০) অনুযায়ী তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম সম্পদশালী ব্যক্তিদের একজন।তার আনুষ্ঠানিক পরিচয় তিনি ডেল ইনকরপোরেশনের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী। ছোটবেলায় জমানো ১ হাজার ডলার মূলধন নিয়ে ব্যবসায় শুরু করেন তিনি। ১৯৮৪-এ কম্পিউটার উৎপাদনের লাইসেন্স গ্রহণ করে তিনি। মাত্র ২৪ বছর বয়সে প্রধান নির্বাহী হিসেবে যোগ দেন নিজের প্রতিষ্ঠানেই। মাত্র ৪৬ বছর বয়সে (২০১১) তার সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৭ বিলিয়ন ডলার। মাত্র দুই যুগে তিনি ডেলকে পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় কম্পিউটার ব্র্যান্ড-এ উন্নীত করেছেন তিনি। জন্ম ও ছোটবেলা ১৯৬৫ সালের, ২৩ ফেব্রুয়ারি টেক্সাসের হিউস্টনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পিতার নাম অ্যালেক্সেন্ডার ডেল এবং মায়ের নাম লরেন চার্লোট ডেল।ডেলের বাবা মা চাইতেন তিনি চিকিৎসাবিদ্যায় শিক্ষা লাভ করবেন। কিন্তু যার স্বপ্ন অনেক বড় কিছু করার, তার শিক্ষা আর পেশা কখনই বই এর পাতায় বন্দী থাকে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে পরার সময় নিজের হোস্টেলের রুম থেকেই তার কমপিউটার ব্যবসার যাত্রা শুরু হয়। কিশোর বয়সে খণ্ডকালীন চাকরি করে নানা রকম ইলেক্ট্রনিক্সের যন্ত্রাংশ কিনতেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে ডেল নিজের অর্থে একটি অ্যাপলের কমপিউটার কেনেন। কেনার পরপরই এর সব যন্ত্রাংশ খুলে দেখেন কীভাবে এটা তৈরি করা হল।
২০২৪ সালে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি কে?
এই তালিকায় প্রথমেই রয়েছেন টেলসা’র সিইও ইলন মাস্ক । ব্লুমবার্গ বিলিনিওয়ার্স ইনডেক্স অনুযায়ী, মাস্ক ২০২১ সালে তার মোট সম্পদের সঙ্গে ১২১ বিলিয়ন ডলার যোগ করেছেন। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হয়ে উঠেছেন তিনি। ৫০ বছর বয়সী প্রতিভাবান ইলন মাস্কের মোট সম্পদ ৩০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।
পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি কে ছিলেন?
উঃ সব রেকর্ড চুরমার করে এখনও পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হলেন মানসা মুসা। ‘মানসা’ শব্দের অর্থ রাজা। মানসা মুসা বা প্রথম মুসা ছিলেন আফ্রিকার মালির সম্রাট। চতুর্দশ শতাব্দীতে পশ্চিম আফ্রিকার মালি ছাড়াও আরও বেশকিছু অঞ্চলে বিস্তৃত ছিল তাঁর শাসন।
মুকেশ আম্বানি কি কাজ করে?
উঃ ধীরুভাই আম্বানি তার ব্যবসায়িক যাত্রা সুতা এবং মশলা ব্যবসা করে। তারপর, তিনি টেক্সটাইল এবং কাপড় তৈরির জন্য রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ প্রতিষ্ঠা করেন। রিলায়েন্স বোর্ডে তার ভাই – অনিল আম্বানির সাথে বাহিনীতে যোগদানের আগে, মুকেশ 20 বছর বয়সী এবং রাসায়নিক প্রকৌশলে প্রশিক্ষিত ছিলেন।
বিশ্বের শীর্ষ ১০ জন ধনী ব্যক্তি ?
- ১. বার্নার্ড আর্নল্ট (ফ্রান্স)
- ২. ইলন মাস্ক (যুক্তরাষ্ট্র)
- ৩. জেফ বেজোস (যুক্তরাষ্ট্র)
- ৪. মার্ক জুকারবার্গ (যুক্তরাষ্ট্র)
- ৫. ল্যারি এলিসন (যুক্তরাষ্ট্র)
- ৬. ওয়ারেন বাফেট (যুক্তরাষ্ট্র)
- ৭. বিল গেটস (যুক্তরাষ্ট্র)
- ৮. স্টিভ বলমার (যুক্তরাষ্ট্র)