ইসলামি ভ্রাতৃত্ব রচনা আরবি لأخوة الإِسْلَامِيَّة
المقدمة : الحمد لله الذي خلقنا والف بين قلوبنا والصَّلاةُ وَالسَّلامُ عَلَى النبي الذي من النَّاسَ بِالْإِنْحَاءِ وَالْأَنْفَانِي وَإليهِ وَأَصْحَابِهِ الَّذِينَ قَامُوا بِالْإِلْحَادِ والأخوة في الأمة
حصول الآخرة نِعْمَةً مِنَ اللهِ : إِن حُصُول الأخوة بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ نِعْمَةٌ مِنَ اللهِ
تَعَالَى، لذا قَالَ تَعَالَى : وَاذْكُرُوا نِعْمَةَ اللهِ عَلَيْكُمْ إِذْ كُنْتُمْ أَعْدَاءٌ قَالَفَ بَيْنَ فلونكُمْ فَاصْبَحْتُمْ بِنِعْمَتِهِ إِخْوَانًا فَقَدْ كَانَتِ الْعَرَبُ قَبْلَ الْإِسْلَامِ مُتَفَرِّقِينَ وممَرِّفِينَ إِلَى فِرَقِ وَأَحْزَابٍ، فَأَنْعَمَ اللهُ عَلَيْهِمْ فَجَعَلَهُمْ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فَأَصْبَحُوا بنعمته إخوانا.قوائد الأخرة للأخوة الإسلامية قوائد كثيرة فِي حَيَاةِ المُسْلِمِ فَإِنَّهَا تَدْعُو المسلمين إلى الإتحاد والاتفاقي وتزيل الفرق بينهم وهي تسوى بين العربي والعجمي والغني والفقير والأبيض والأسود والراعي والرعية والعالم والجَاهِلِ فيصبحون كالجسد الواحد إذا اشتكى منه عضو تَدَاعَى لَهُ سَائِرُ الْجَسَدِ بالسهر والحمى، وبه يَقْدِرُونَ أَنْ يُجَاهِدُوا فِي سَبِيْلِ اللَّهِ كَالْبُنْيَانِ الْمَرْصُوصِ
الإقامة الدولة الإسلامية
اصول هذه الأخوة : هذه الأخوة تقوم على أصُولِ التَّعَاوُنِ وَالتَّرَاحِمِ وَالتَّنَاصح
والإنشارِ وَالمُوَاسَاتِ فِيمَا بَيْنَهُمْ
هدام الأخوة : وهذه الأخوة تهدمها الحد والبعْضُ وَالْعِيبَةُ وَالسَّمِيمَة وسوء الظر فلذا حرمها الإِسْلَامُ، وَحَبَّ النَّاسَ للالتزام كل ما يُقوى التَّرَابِطَ وَالتَّعَاطِفَ فِيمَا
بيتهم حتى يكونَ الْمُؤْمِنُ لِلْمُؤْمِنِ كَالبُنْيَانِ يَشْدُّ بَعْضُهُ بَعْضًا
الخَائِمَة : عَلَيْها أن تقوى أخوتنا الإسلامية بِالتَّعَاوُنِ وَالتَّرَاحُمِ وَالتَّعَاطِفِ والترابط فيما بيننا، كما علينا أن نبذل جهودنَا لِلْإِنْفَانِي وَالنَّعَامِنِ
والاعتصام، وأن نزيل بيننا المنازعة والخلاف
ইসলামি ভ্রাতৃত্ব রচনা আরবি لأخوة الإِسْلَامِيَّة
ভূমিকা: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য, যিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এবং
আমাদের পরস্পরের মাঝে বন্ধুত্ব স্থাপন করেছেন। দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক নবি (স)-এর ওপর, যিনি মানুষদেরকে একতা ও ঐক্যমত্যে উদ্বুদ্ধ করেছেন এবং তার পরিবারবর্ণ ও ঐ সকল সঙ্গীর ওপর যারা উম্মতের মাঝে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন।
ভ্রাতৃত্ব অর্জন আল্লাহর অনুগ্রহ নিশ্চয় মুসলিমদের মাঝে ভ্রাতৃত্ব বন্ধন অর্জন মহান আল্লাহর একটি নিয়ামত। একারণেই আল্লাহ তাআলা বলেন- ‘স্মরণ করা তোমাদের ওপর আল্লাহর অনুগ্রহ; যখন তোমরা পরস্পর শত্রু ছিলে তখন আল্লাহ তোমাদের অন্তরসমূহের মধ্যে হৃদ্যতা সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তোমরা তাঁর অনুগ্রহে ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবন্ধ হয়ে গেলে।’ ইসলামপূর্ব যুগে আরবরা বিক্ষিপ্ত ও বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন দল ও সম্প্রদায়ে বিভক্ত ছিল। অতঃপর আল্লাহ তাদের ওপর অনুগ্রহ করলেন। তিনি তাদেরকে মুসলমান করলেন। কাজেই তাঁর অনুগ্রহের কারণে তারা ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে
আবন্দ হলো।ভ্রাতৃত্বের উপকারিতা: মুসলিম জীবনে ভ্রাতৃত্বের অনেক উপকারিতা রয়েছে। নিশ্চয়
এটি মুসলিমদেরকে একতা ও ঐক্যের দিকে আহ্বান করে এবং তাদের পারস্পরিক পার্থক্যকে দূরীভূত করে। আর এ ভ্রাতৃত্ব আরবি-অনারবি, বিত্তশালী-বিত্তহীন, সাদা- কালো, রাজা-প্রজা এবং জ্ঞানী ও মূর্খের মাঝে সমতা বিধান তৈরি করে। ফলে তারা এক দেহের মতো একাকার হয়ে যায়, যখন তার কোনো এক অঙ্গ বেদনা অনুভব করে তখন এর জন্য সমস্ত দেহ নিদ্রাহীনতা ও জ্বরে ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়। এর দ্বারাই তারা ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সীসা ঢালা প্রাচীরের মতো দৃঢ়পদ থেকে আল্লাহর রাস্তায় সংগ্রাম করতে সক্ষম হয়।
ভ্রাতৃত্বের মূলনীতি: এ ভ্রাতৃত্ব পরস্পর সহযোগিতা, দয়া, উপদেশ দান, প্রাধান্য দেওয়া ও সমবেদনা প্রকাশের মূলনীতিসমূহের ওপর প্রতিষ্ঠিত।
ভ্রাতৃত্ব বিনাশী : এ ভ্রাতৃত্ব হিংসা, ঘৃণা, পরনিন্দা, চোগলখুরি ও খারাপ ধারণা নির্মূল করে। এ কারণে ইসলাম তা হারাম করেছে। আর মানুষকে পারস্পরিক বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া ও পরস্পর সহানুভূতিকে শক্তিশালী করার প্রতি উৎসাহিত করে। এমনকি ‘মুমিন হবে পরস্পর সীসাঢালা প্রাচীরের মতো যা একে অপরকে সুদৃঢ় করবে।’
উপসংহার: পরস্পরিক সহযোগিতা, দয়া, সহানুভূতি ও পারস্পরিক বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে আমাদের ইসলামি ভ্রাতৃত্বকে শক্তিশালী করা আবশ্যক। অনুরূপভাবে আমরা দৃঢ়তা ও ঐক্যের জন্য আমাদের সকল প্রচেষ্টা ব্যয় করব এবং আমাদের থেকে ঝগড়া ও মতানৈক্য দূরীভূত করব।
Leave a Reply