ير الوالدين
المُقَدِّمَةُ : الحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي خَلَقَنَا فِي هُذِهِ الدُّنْيَا بِوَاسِطَةِ الْوَالِدَيْنِ وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلَى أَشْرَفِ الأَنْبِيَاءِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَى أَلِهِ وَأَصْحَابِهِ أَجْمَعِينَ أَمَّا بَعْدُ فَالْوَالِدَانِ يُكَلِّفَانِ لِلْأَوْلَادِ تَكْلِيْفًا شَدِيدًا. وَيَتَحَمَّلَانِ عَبَا نَرَيْبَتِهِمْ رُوحِيًّا وَبَدَنِيًّا. فَلِذَا أَوْجَبَ اللهُ تَعَالَى عَلَى الْأَوْلَادِ الْإِحْسَانَ إِلَيْهِمَا، قَالَ
تعالى : وقَضَى رَبُّكَ إِلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا (الْإِسْرَاءُ : ۲۳)
معنى برِّ الْوَالِدَيْنِ : مَعْنَى الْبِرِّ لُغَةٌ الْإِحْسَانُ وَالْإِطَاعَةُ وَحُسْنُ السُّلُوكِ، وَالْوَالِدَانِ هما الأب والأم. وَفِي الْإِصْطِلاح إِنَّ بِرَّ الْوَالِدَيْنِ عِبَارَةٌ عَنْ إِطَاعَةِ الْآبِ وَالْآمِ وَالْإِحْسَانِ إِلَيْهِمَا وَاحْتِرَامِهِمَا وَآدَاءِ حُقُوقِهِمَا وَحُسْنِ الْمُعَامَلَةِ وَالْمُعَاشَرَةِ مَعَهُمَا.سبب بر الوالدين : الوَالِدَانِ هما وايطانِ الوُجُودِنَا فِي الدُّنْيَا وَهُمَا أَشْفَقْ النَّاسِ وارحمهم واكثرهم حبا لأولادهم يتحملان جميع المنقاب وانواع الآلام وتدور الأم الشَّدائِدَ فِي حَمْله ورضاعه وكمْ مِنْ لَيَالِ مُضَتْ وَالْأَم سَاهِرَةٌ لِشِدَّةِ
الحمل والمرض الأولاد . فَأَوْجَبَ الله تَعَالَى بر الوالدين على الأولاد واجب الأولاد نحو الوالدين : يجب على الأوْلَادِ إِطَاعَتُهُمَا وَحُسْنُ السلوان معهما والإحسان اليهما، وإظهار الرَّحْمَةِ وَالتَّوَاضُعِ لَهُمَا، وَجَدْمَتْهُمَا خَاصَّةٌ فِي حالي كبرهما ، قال الله تعالى وقضى رَبُّكَ إِلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا
إما يبلغن عندك الكبر أحدهما أو كلاهما فلا تَقُلْ لَهُمَا أَن وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَقُلْ لهذا قولاً كريما والحفضْ لَهُمَا جَنَاحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحْمَةِ وَقُل رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا ربياني صغيرا ، وبَعْدَ المَمَاتِ أَنْ يَدْعُو لَهُمَا وَحُسْنُ السُّلْوَالِ مَعَ أَصْدِقَانِهِمَا حكم إطاعة الوالدين : إطاعة الوالدين واجب عَلَى الْأَوْلَاءِ فَأَرْجَبَ اللَّهُ تَعَالَى بعد ذكر عباديه اهتمامًا بها حيث قال : وقضى رَبُّكَ إِلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وبالوالدين إحسانًا ، وَجَعَلَ عُلُوْنَهُمَا مِن أكبر الكبَائِرِ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : إِنَّ مِن أكبر الكبائر التران باللهِ وَعُفُوقَ الْوَالِدَيْنِ قَالَ أَيْضًا ، رضا الرب في رضا الوالدين وسخط الرب في سخط الوالدين، وأيضًا قال : حل
الذُّنوبِ يَعْفُو الله مِنْهَا مَا شَاءَ إِلَّا عُقوق الوالدين.
حت الرَّسُولُ عَلَى خِدْمَةِ الْوَالِدَيْنِ : حَنَّ الرَّسُولُ عَلَيْهِ السَّلام بر الوالدين وأطاعتهما فقال : بر الوالدين هو افضل الأَعْمَالِ جَاءَ فِي حَدِيثٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَة رضي الله عنه . قال جاء رجل إلى رَسُولِ الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، فَقَالَ يَا رسول الله من أحَقُّ بِحُسْنِ صَحَابَتِي قَالَ امَّكَ قَالَ ثُمَّ مَنْ قَالَ أَنَّكَ قَالَ ثُمَّ مَنْ قَالَ
أمك قال لم من قال أنا الله
الخاتمة : يجب علينا أن نطيع الوالدين ونَحْسِينَ إِلَيْهِمَا وَتَمْتَيْلَ أَوَامِرَهُمَا مادام لا بأمران يتعصية الخالق وتجنيب عن تَوَاهِبُهِمَا، وَنَدْعُوَ لَهُمَا بَعْدَ
الممات مليين لبداء الله عَزَّ وَجَلَّ رَبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا
ير الوالدين পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার রচনা আরবি
ভূমিকা: যাবতীয় প্রশংসা মহান আল্লাহর যিনি পিতামাতার মাধ্যমে এ জগতে আমাদের সৃষ্টি করেছেন। দরূদ ও সালাম সর্বশ্রেষ্ঠ নবী মুহাম্মদ (স), তাঁর পরিবারবর্গ ও সকল সাহাবায়ে কেরামের ওপর। পিতামাতা দু’জনে সন্তানসন্ততির জন্য কঠোর কন্ট স্বীকার করে থাকেন। এজন্য আল্লাহ তাআলা সন্তানদের ওপর পিতামাতার প্রতি সম্ব্যবহার করা আবশ্যক করে দিয়েছেন। মহান আল্লাহ বলেন, “এবং আপনার প্রভু ফরয করে দিয়েছেন যে, তোমরা একমাত্র তাঁর ব্যতীত অন্য কারো ইবাদত করবে না এবং পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করবে।”
পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহারের অর্থ: আভিধানিকভাবে শব্দের অর্থ হলো ইহসান বা সদ্ব্যবহার, আনুগত্য ও উত্তম চরিত্র। সানী অর্থাৎ বাবা ও মা। পরিভাষায়: الدِّينِ অর্থ হলো পিতামাতার প্রতি আনুগত্য করা, তাদের প্রতি দয়া করা, তাদের সম্মান করা, তাদের অধিকারসমূহ আদায় করা এবং তাদের সাথে উত্তম ব্যবহার ও জীবনযাপন করা।
পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহারের কারণ: পিতামাতা হলো আমাদের দুনিয়ায় অস্তিত্বের, মাধ্যম। সন্তানের প্রতি অধিক ভালোবাসা, অধিক দয়া ও অধিক স্নেহের ক্ষেত্রে তারা মানুষদের মধ্যে অন্যতম। তারা উভয়ে বহু কষ্ট ও বিভিন্ন প্রকার যন্ত্রণা বহন করে থাকেন। মা সন্তান গর্ভধারণ ও দুগ্ধ পানে নানা রকম কষ্ট সহ্য করেন। অনেক রাতে মা তার সন্তানের দুগ্ধ পান ও গর্ভের যন্ত্রণায় বিনিদ্র রজনী জাগরণ করেন। তাই আল্লাহ তাআলা সন্তানের ওপর পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন।
পিতামাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব: সন্তানের ওপর পিতামাতার আনুগত্য, তাদের সাথে সদাচরণ, তাদের প্রতি অনুগ্রহ ও তাদের জন্য দয়া ও বিনয় প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক। বিশেষ করে বৃদ্ধাবস্থায় তাদের সেবা করা। আল্লাহ তাআলা বলেন, আপনার প্রতিপালক ফরয করে দিয়েছেন যে, তোমরা একমাত্র তাঁর ব্যতীত অন্য কারো ইবাদত করবে না এবং পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করবে। হয়তো তাদের একজন অথবা উভয়ে তোমার নিকট বয়স্কাবস্থায় উপনীত হবে তখন তুমি তাকে উহ শব্দটি পর্যন্ত করো না এবং তাদেরকে ধমকও দিও না; বরং তাদের সাথে নম্র ভাষায় বাক্যালাপ কর এবং বল হে আমার প্রভু। তাদের উভয়ের প্রতি রহম কর, যেমনিভাবে তারা আমার বাল্যকালে লালন পালন করেছে। তাদের মৃত্যুর পরে তাদের জন্য দোয়া করবে এবং তাদের বন্ধুদের সাথে সদাচরণ করবে।
পিতামাতার প্রতি আনুগত্যের হুকুম আল্লাহ তাআলা তাঁর ইবাদতের পরই সন্তানের ওপর পিতামাতার প্রতি আনুগত্য করা আবশ্যক করে দিয়েছেন। এমনকি তিনি বলেন, “এবং আপনার প্রভু ফরয করে দিয়েছেন যে, তোমরা একমাত্র তাঁর ব্যতীত অন্য কারো ইবাদত করবে না এবং পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার করবে।” পিতামাতার অবাধ্য হওয়া সবচেয়ে বড় কবিরা গুনাহ। নবী করীম (স) বলেছেন- আল্লাহর সন্তুষ্টি পিতামাতার সন্তুষ্টিতে এবং আল্লাহর ক্রোধ পিতামাতার ক্রোধে। তিনি আরো বলেন- আল্লাহ সকল পাপ ইচ্ছা করলে ক্ষমা করবেন একমাত্র পিতামাতার অবাধ্যতার পাপ ব্যতীত।পিতামাতার সেবার প্রতি রাসূল (স)-এর উৎসাহ প্রদান: রাসূল (স) পিতামাতার প্রতি ‘সদ্ব্যবহার ও তাদের আনুগত্যের জন্য উৎসাহ দিয়েছেন। রাসূল (স) বলেন, পিতামাতার সাথে সদ্ব্যবহার হলো উত্তম কর্ম। আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত হাদিসে এসেছে- “এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (স)-এর নিকট এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল। আমার সদাচরণ পাওয়ার বেশি অগ্রাধিকার রাখে কে? রাসূল (স) বললেন, তোমার মা। সে বলল, অতঃপর কে? রাসূল (স) বললেন, তোমার মা। সে বলল, এরপর কে? রাসূল (স) বললেন, তোমার মা। সে বলল, তারপর কে? রাসূল (স) বললেন, তোমার পিতা।
উপসংহার: পিতামাতার প্রতি আনুগত্য ও তাদের প্রতি অনুগ্রহ করা আমাদের ওপর আবশ্যক। আমরা উভয়ের আদেশসমূহ মান্য করব নিষেধসমূহ থেকে বিরত থাকবো। মৃত্যুর পর তাদের জন্য দোয়া করবো মহান আল্লাহর ভাষায়- হে রব! তাদের উভয়ের প্রতি দয়া কর যেমন তারা আমাদের শিশু অবস্থায় লালনপালন করেছেন।
Leave a Reply