কম খেয়েও সুস্থ থাকা খেয়েও সুস্থ থাকা যায়। এ কথা শুনে খুশি হবেন অনেকে। তবে এর জন্য খাবার থালার আকার, নকশা ও আয়তন সঠিক হতে হবে। যে খাবারই খান না কেন থালা সঠিক হলে বেশি খাওয়া হবে না। একে বলে
‘পরসন কন্ট্রোল’।
Table of Contents
খাবারের থালার মধ্যে দুটো ভাগ। এক ভাগে সবজি, শাক। অপর ভাগের অর্ধেকে আমিষ যেমন: মাছ, কচি মাংস, ডাল, ডিম। অন্য অর্ধেকে শ্বেতসার: লাল চালের ভাত বা আটার রুটি। সঙ্গে এক গ্লাস দুধ, একটি ফল, এক চা-চামচ তেল, ভোগ্যতেল। তাহলে খাওয়া হবে কম। সুষম, পরিমিত। ফলে যাঁরা শুধু ফল খেয়ে থাকতে চান, তাঁরা নিশ্চিন্তে অন্য সব খাবারও খেতে পারবেন।
কম খেয়েও সুস্থ থাকা 2024
এপিটাইট নামে জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিবন্ধে দেখানো হয়েছে, যখন গবেষণার স্বেচ্ছাসেবীদের একটি লাল প্লেটে পপকর্ন ও চকলেট, চিপস পরিবেশন করা হলো, তাঁরা খেলেন কম। লাল আভা মানুষকে অতিরিক্ত খেতে নিবৃত্ত করে। রংটি আবেগ-অনুরাগের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, তবে এটি বিরামচিহ্নও নির্দেশ করে বটে। সম্ভবত আমরা লাল রংকে সতর্কসংকেত হিসেবে চিনি, ফলে আমরা খাবার গ্রহণ করি কম। আবার স্লিম বাই ডিজাইন গ্রন্থের প্রণেতা এবং কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড অ্যান্ড ব্র্যান্ড ল্যাবের পরিচালক ব্রায়ান ওয়ানসিংক দেখেছেন, খাবারের থালার সঙ্গে মিল খায়, এমন খাবার পরিবেশন করা হলে, যেমন একটি সাদা প্লেটে সাদা ভাত দেওয়া হলো, খাওয়া হলো বেশি। খাদ্য ও থালার মধ্যে রঙের ভিন্নতা থাকলে খাবারের পরিমাণ বেশি হলে চোখে লাগে বেশি; তাই খাওয়া হয় কম।
কম খেয়েও সুস্থ থাকা 2024
প্লেটের আকার ছোট হলে খাওয়া হবে কম। ওবেসিটি জার্নালে একটি গবেষণা প্রবন্ধে দেখানো হয়েছে, বড় বড় থালায় খেলে খাবারের পরিমাণে অসুবিধা হয়; বড় থালায় খাবার বেশি নিতে প্রলোভিত হয় মন।
কারণ বড় থালায় যদি কম খাবার থাকলে মন চিন্তিত হয়ে পড়ে। তখন আরও বেশি খাবার নিতে চায়। তাই বড় খাবার প্লেটের বদলে সালাদ প্লেটে খাবার খেলে চোখে ভ্রম হয়। মনে হয় যে খাবার তো প্লেট ভরাই খাচ্ছি। অথচ পরিমাণে কম থাকে।
এসব কৌশল পরখ করে দেখুন। কাজ হতে পারে। কম খাবার, পুষ্টি বেশি; ওজন কমবে।
সোর্সঃ ইন্টারনেট