টক দই খেলে কি উপকারিতা টক দই খেলে মিলবে ১২ উপকারিতা
দধি বা দই হল এক ধরনের দুগ্ধ জাত খাদ্য যা দুধের ব্যাক্টেরিয়ার গাঁজন হতে প্রস্তুত করা হয়। ল্যাক্টোজের গাঁজনের মাধ্যমে ল্যাক্টিক এসিড তৈরি করা হয়, যা দুধের প্রোটিনের ওপর কাজ করে দইয়ের স্বাদ ও এর বৈশিষ্ট্যপূর্ণ গন্ধ প্রদান করে।
মানুষ ৪৫০০ বছর ধরে দই প্রস্তুত করছে এবং তা খেয়ে আসছে। সারা পৃথিবীতেই এটি পরিচিত। পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু খাদ্য হিসেবে এর সুনাম আছে। দই প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, রাইবোফ্ল্যাভিন, ভিটামিন B6 এবংভিটামিন B12 এ অ’ত্যন্তসমৃদ্ধ।
ডা’ক্তার বা পুষ্টিবিদেরা সবসময়ই ট’ক দই খেতে পরাম’র্শ দেন। বাইরের দেশগুলোতে যেমন ভা’রতে খাবার পরে সবসময় ট’ক দই খায়। ট’ক দই একটি lactic fermented খাবার। ট’ক দই একটি অ’ত্যন্ত পুষ্টিকর ও হেলদি খাবার, কারণ এতে আছে দরকারী ভিটামিন, মিনারেল, আমিষ ইত্যাদি।
এটি দুগ্ধযাত খাবার ও দুধের সমান পুষ্টিকর খাবার। এমনকি এটি দুধের চাইতে ও বেশি পুষ্টিকর খাবার হিসাবে গণ্য করা হয়। কারণ দুধের চাইতে বেশি। আজকে থাকছে ট’ক দই খাওয়ার উপকারিতা।
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
এটি শ’রীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ঠান্ডালাগা, সর্দি ও জ্বর না হওয়ার জন্য এটি ভালো কাজ করে। এছাড়া দই দেহের র’ক্তের শ্বেত কণিকা বাড়িয়ে দেয়, যা জীবাণু সংক্রমণের বি’রুদ্ধে যু’দ্ধ করে।
২. ওজন কমায়
ওজন কমানোর জন্য অনেক চেষ্টা করতে থাকেন অনেকেই। ওজন কমানোর মূল হাতিয়ার হিসেবে ট’ক দইয়ের জুড়ি নেই। ট’ক দইয়ে ফ্যাট অনেক কম থাকে। খাবারের সঙ্গে দই খাওয়া হলে তা দেহের চর্বি ব্যবহার করতে উৎসাহিত করে। এতে দেহের চর্বি কমে এবং সার্বিক ভাবে ওজন কমাতে সহায়তা করে।
৩. হাড়কে মজবুত করে
দইয়ে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ‘ডি’। দুটি উপাদানই হাড়ের জন্য অ’ত্যন্ত প্রয়োজনীয়। নিয়মিত দই খেলে হাড় মজবুত হবে।
৪. হ’জম শক্তি বৃদ্ধি করে
ট’ক দইয়ের উপকারী ব্যাকটেরিয়া ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মে’রে ফেলে এবং শ’রীরের উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে বাড়িয়ে হ’জম শক্তি বাড়ায়।
৫. ত্বকের জন্য উপকারী
দইয়ের উপাদান ত্বককে মসৃণ করে। দইয়ের ল্যাকটিক এসিড ত্বককে পরিষ্কার করে এবং মৃ’ত কোষ দূর করে।
৬. উপকারী ব্যাকটেরিয়া
দইয়ে রয়েছে অসংখ্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া। এ ব্যাকটেরিয়া গুলো দেহের ক্ষতি করে না বরং হ’জমে সহায়তা করে। এ ছাড়া দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও কাজ করে দইয়ের ব্যাকটেরিয়া।
৭. রোগ প্রতিরো ধক্ষমতা বৃদ্ধি
নিয়মিত দই খাওয়া হলে তা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। এ ছাড়া দই দেহের র’ক্তের শ্বেত কণিকা বাড়িয়ে দেয়, যা জীবাণু সংক্রমণের বি’রুদ্ধে যু’দ্ধ করে।
৮. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
কোষ্ঠকাঠিন্য খুবই যন্ত্র’ণাদায়ক একটিশা’রীরিক সমস্যা। ট’ক দইয়ের ল্যাকটিক কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। এ ছাড়া ও নিয়মিত ট’ক দই খেলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁ’কি কমে।
৯. পাকস্থলীর নানা সমস্যা দূরীকরণ
পাকস্থলীর নানা সমস্যা দূর করতে ভূমিকা রাখে দই। বিশেষ করে ল্যাকটোজের প্রতিসংবেদনশীলতা,কোষ্ট’কাঠিন্য, ডায়রিয়া, কোলনক্যান্সার ও অন্ত্রের সমস্যা দূর করতে কার্যকরী দই।
১০. স্ট্রোক এবং হৃদপিণ্ডের ঝুঁ’কি কমায়
ট’ক দইয়ে ফ্যাট অনেক কম থাকে এবং ট’ক দই স্বাস্থ্যকর খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম যা র’ক্তের কোলেস্টরল কমাতে বিশেষভাবে সহায়ক। আর এ কারণে কার্ডিওভ্যস্কুলার সমস্যা, স্ট্রোক এবং হৃদপিণ্ডের সমস্যার ঝুঁ’কি কমায়।
১১. র’ক্ত চাপের সমস্যা দূর করে
উচ্চ র’ক্ত চাপের সমস্যা দূর করতেও ট’ক দইয়ের জুড়ি নেই। নিয়মিত ট’ক দই খাওয়ার অভ্যাস কোলেস্টরল কমায় এবং সেই সঙ্গে কমায় উচ্চ র’ক্ত চাপের ঝুঁ’কি।
১২. তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
ট’ক দই শ’রীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই গ্রীষ্মকালে ট’ক দই খেলে ভালো।