বাচ্চাদের ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম

Spread the love

বাচ্চাদের ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম

বাচ্চাদের ই-পাসপোর্ট – আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি ১৮ বছর বয়সের নিচে যাদের বয়স বা অপ্রাপ্তবয়স্ক বাংলাদেশী নাগরিক আছে অথবা বাচ্চাদের জন্য যারা পাসপোর্ট এর আবেদন করবেন তাদের ক্ষেত্রে বাচ্চাদের আবেদন করার জন্য, বাচ্চাদের ই-পাসপোর্টের আবেদন করতে কি কি কাগজপত্র লাগবে বা কি কি ডকুমেন্ট লাগবে এটা অনেকেরই অজানা ।

আজকের এই আলোচনায় আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি কিভাবে এবং কি কি কাগজপত্র দিয়ে আপনি আপনার বাচ্চার জন্য ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন ।

ই-পাসপোর্ট অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম

বাচ্চাদের ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম
বাচ্চাদের ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম

ই-পাসপোর্ট করতে প্রথমে আপনার লাগবে অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম । ই-পাসপোর্ট এর জন্য অনলাইনের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট এর আবেদন করতে পারবেন । এই আবেদন ফরম পূরণ করে সাবমিট করার পর সেই আবেদনের প্রিন্ট কপি আপনার প্রয়োজন পড়বে । এটি আপনারা অফলাইনেও করতে পারবেন । তবে আমি বলবো অবশ্যই আপনারা অনলাইনে এই আবেদনের কাজটি করুন ।

বাচ্চাদের ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম – অনলাইন অ্যাপ্লিকেশনফর্ম ।জন্ম নিবন্ধন সনদ

বাচ্চাদের ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম – জন্ম নিবন্ধন সনদঅনলাইন চেক । পিতা-মাতার এনআইডি কার্ডের কপি

সাধারণত ১৮ বছর বয়সের নিচে অথবা অপ্রাপ্ত বয়স্কদের এনআইডি (NID) কার্ড থাকে না । সুতরাং বাচ্চার যে বাবা-মা আছেন তাদের এনআইডি (NID) কার্ডের ফটোকপি বাচ্চার ই-পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য আবেদনপত্রের সঙ্গে লাগবে অথবা জমা দিতে হবে ।

ব্যাংক পেমেন্ট স্লিপ

আপনার বাচ্চার ই-পাসপোর্ট করার জন্য ব্যাংকে যে টাকা জমা দিয়েছেন তার একটি কপি আবেদন ফরমের সাথে জমা দিতে হবে ।

ই-পাসপোর্ট ফি কত?

সাধারন পাসপোর্টের ক্ষেত্রে ৩ হাজার ও ভ্যাট ৪৫০ টাকা । এটি পেতে সময় লাগবে ২১ দিন । জরুরি করতে হলে ৬ হাজার টাকা ও ৯শ টাকা ভ্যাট । এটি পেতে সময় লাগবে ১১ দিন । সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আপনাকে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে । তারপর আপনি পাসপোর্টটি আনতে পারবেন । আরও বিস্তারিত জানতে www.dip.gov.bd-এ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন ।

কোন ব্যাংকে টাকা জমা দিবেন?

কয়েকটি ব্যাংকের মাধ্যমে ই-পাসপোর্টের টাকা জমা দিতে পারবেন । যেমন- ওয়ান ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ট্রাস্ট ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক ।

ই-পাসপোর্টে বাচ্চার ছবি

যখন আবেদন করবেন তখন বাচ্চার 3R সাইজের একটি ছবি রাখার চেষ্টা করবেন । অনেক সময় অনলাইনে আবেদনের জন্য এই ছবি লাগতেও পারে আবার নাও লাগতে পারে । তবে রাখাটাই শ্রেয়, যদি লাগে তাহলে ব্যবহার করবেন ।

এছাড়া আপনার ই-পাসপোর্ট আবেদনের জন্য অন্য কোনো ছবি, পাসপোর্ট সাইজের ছবি বা ছোট ছবি এবং কাগজপত্র সত্যায়ন এ ধরনের কোনো কিছুই আপনার বাচ্চার ই পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে প্রয়োজন পড়বে না ।

এছাড়া বাচ্চাদের ই-পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে আর সবকিছুই একই রকম । অনলাইন ফর্ম পূরণ করার জন্য অন্যান্য কাগজপত্রের প্রয়োজনের ক্ষেত্রে শুধু যে পার্থক্য আছে সেগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম ।

Leave a Comment