ম্যাচের খাবার তালিকা

ম্যাচের-খাবার-তালিকা
ম্যাচের-খাবার-তালিকা

ম্যাচের খাবার তালিকা

আসুন সপ্তাহের সাত দিনের একটি খাদ্য তালিকা তৈরি করি

শনিবার:

সকাল: রুটি, সবজি, ডিম, চা

দুপুর: ভাত, মাছ, সবজি, ডাল।

বিকেল: ফল

রাত: রুটি, সবজি, এক গ্লাস দুধ।

রবিবার

সকাল: পরোটা, সবজি, চা।

দুপুর: ভাত, শাক, মাছ।

বিকেল: জুস

রাত: রুটি, সবজি, সালাদ।

সোমবার

সকাল: টোস্ট, কলা, চা।

দুপুর: ভাত, সবজি, মাংস সালাদ।  

বিকেল: স্যান্ডউইচ

রাত: রুটি, ডাল, সালাদ

মঙ্গলবার

সকাল: পাউরুটি, জ্যাম, ডিম, চা

দুপুর: ভাত, সবজি, ছোট মাছ, ডাল

বিকেল: পেয়ারা অথবা আপেল

রাত: সবজি খিচুরি

বুধবার

সকাল: রুটি, কলিজা ভুনা, চা

দুপুর: ভাত, সবজি, সালাদ, ডাল

বিকেল: বিস্কুট, কফি

রাত: ভাত, ডাল, ভাজি, মাছ।

বৃহস্পতিবার

সকাল: রুটি, সবজি, একটা ফল, চা।

দুপুর: ভাত, ডাল, মাংস

বিকেল: মুড়ি, চিড়া, চা

রাত: রুটি, সবজি, সালাদ

শুক্রবার

সকাল: সবজি খিচুড়ি

দুপুর: ভাত, মাছ, সবজি, সালাদ

বিকেল: ফল

রাত: আপনার পছন্দ।

ম্যাচের খাবারএর তালিকা আর কিছু নাস্তা এর তালিকা

১: চিঁড়া

চিঁড়া

চিড়া হচ্ছে একধরনের খাবার যা বাংলাদেশ, ভারত, নেপালে খাওয়া হয়। ধান থেকে চিড়া তৈরী করা হয়। ভালো স্বাদের চিড়া পেতে হলে নির্দিষ্ট জাতের ধান নির্বাচন করতে হয়। চিড়া শুকনো বা ভেজা অবস্থায় খাওয়া যায়। পানি, দুধ এবং অন্যান্য তরল জাতীয় পদার্থ খুব সহজে চিড়া শুষে নিতে পারেচিড়া শুধু একধরণের খাবার নয়, এটা একটা সাংস্কৃতিক প্রতীক! বাংলাদেশ, ভারত, নেপালের মানুষ ধানকে কেবল খাদ্য হিসেবেই নয়, একটি সৃষ্টিশীল উপাদান হিসেবেও পূজা করে। ভালো স্বাদের চিড়ার জন্য ধান নির্বাচন কোনো মুদানের কাজ নয়, এটি একটি শিল্প! চিড়াকে শুকনো কিংবা ভেজা—যে কোনো অবস্থায় গ্রহণ করা যায়, এবং এর শোষণ ক্ষমতা অসাধারণ। পানি, দুধ অথবা যেকোনো তরল পদার্থে এর লুকানো পুষ্টি ও চমক উন্মুক্ত হয়।

২: মুড়ি

In the world of snacks, “মুড়ি” reigns supreme, and yet it’s tragically underrated. Why settle for less when you can indulge in the crunch and versatility of puffed rice? It’s a culinary canvas waiting to explode with flavors, whether spicy, sweet, or savory. Isn’t it time we give “মুড়ি” the culinary spotlight it deserves? Let’s challenge the snack status quo and elevate our taste buds to the exhilarating possibilities of “মুড়ি.”মুড়ি ধান থেকে তৈরি একধরনের স্ফীত খাবার বা ভাজা চাল, যা সাধারণত প্রাতরাশ বা জলখাবারে খাওয়া হয়। এটি ভারত ও বাংলাদেশে জনপ্রিয় খাবার হিসেবে পরিচিত। চালের অন্তর্বীজ গরম করে বাষ্প উপস্থিতিতে উচ্চ চাপের সাহায্যে মুড়ি তৈরি করা হয়, যদিও এর প্রস্তুত পদ্ধতি বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। চিড়া-মুড়িতে সোডিয়াম এর পরিমাণ কম থাকায় ওজন একদম থাকে নিয়ন্ত্রণে। অনেকের ধারণা চিড়া-মুড়ি ও খাওয়া যাবে না ডায়েটের সময়। যা সম্পূর্ণ

৩- খই

খই হলো এক ধরনের ফুলে ওঠা চাল, যা বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে খুব জনপ্রিয়। এটি প্রধানত বিশেষ অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা হয়, যেমন পূজা, বিয়ে ইত্যাদি। খই তৈরির প্রক্রিয়া বেশ চমকপ্রদ; আগুনে কড়াইতে বালি গরম করে তাতে ধান দিয়ে দেওয়া হয়, যা ফুটন্ত আগুন এবং তাপের প্রভাবে ফুলে উঠে। এর ফলে প্রাপ্ত খই হলো মিষ্টি ও মুচমুচে, যা সাধারণত মিষ্টি, ঘি, এবং নানা ধরনের মসলা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করা হয়।

খই, ওই ছোট্ট দানা যা মুখে দিলেই যেন পার্টি শুরু হয়ে যায়! মুখে দেওয়ার সাথে সাথে এটা ফুটতে থাকে আর খাওয়ার আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যায়। একবার শুরু করলে, থামানো দারুণ কঠিন! খই খই সাধারণ গ্রামবাংলার অতি জনপ্রিয় একটি খাবার। সাধারণত আপ্যায়ন এর সময় এর ব্যবহার হ্য়। আস্ত ধান গরম বালুতে ভেজে এটি তৈরি হয়। খোসার ভিতরে গরম চাল প্রথমে বাড়তে পায় না। কিন্তু ছোটখাট বিস্ফোরণ ঘটিয়ে খোসা ফাটিয়ে চাল শেষপর্যন্ত যখন বাইরে আসে তখন খই(popped rice) বনে গিয়ে তার নিজের গা-ও চৌচির খই তৈরির জন্য প্রথমে লম্বা বা মোটা জাতের ধান বাছাই করতে হবে।এরপর রোদে শুকিয়ে নিতে হবে ভালোভাবে, রোদে শুকানোর পর স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আসলে চুলায় কড়াইতে উত্তপ্ত বালুতে সামান্য পরিমাণ দিয়ে নাড়াচাড়া করতেই তৈরি হয়ে যায় খই।

৪ খেজুর

খেজুর কথাটা শুনলেই কেমন যেন একটা মিষ্টি রসের স্বাদ মুখে ভেসে ওঠে, তাই না? এই মজাদার ফলটা নিয়ে কত রকমের কথা বলার আছে! খেজুর না শুধু খাওয়ার জন্য উপযোগী, এর গুন গানও অনেক। এটা দিয়ে তৈরি হয় সুস্বাদু ডেজার্ট, হেলদি স্ন্যাক্স, আরও কত কি! শরীরে এনার্জি জোগানোর পাশাপাশি খেজুর হজমেও সাহায্য করে। সুতরাং, খেজুরের মধুর স্বাদের আসর থেকে কে না বারবার ফিরে আসতে চায়?

খেজুর একটি অসামান্য ফল, যা না কেবল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, বরং এর মধুর স্বাদ যে কারো মন ভালো করে দিতে পারে। এর প্রতিটি দানা ভরপুর থাকে খনিজ ও ভিটামিনে, যা আমাদের শরীরকে দিনের পর দিন সতেজ ও সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে। এই চমত্কার ফলটির চাহিদা সব সময়ই উচ্চমাত্রায় থাকে, কারণ এটি যেমন সুস্বাদু, তেমন পুষ্টিকর।

Imagine a world without খেজুর! How could we possibly survive the bluntness of plain meals or the sheer predictability of everyday snacks? This isn’t just a sweet fruit; it’s a rebel in the world of flavors, daring to add zest and zeal where none exists. Dive into the essence of culinary excitement—reject the mundane, embrace the extraordinary! Can you handle this kind of taste adventure every day?

খেজুর একটি পুষ্টিকর ফল যা বিশেষ করে মধ্য প্রাচ্যের অঞ্চলে খুবই জনপ্রিয়। এটি নানান ভিটামিন ও খনিজে পরিপূর্ণ, যা আমাদের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে ও শক্তি প্রদান করতে সহায়তা করে। খেজুর খাওয়া শুধু মুখের স্বাদ বদলে দেয় না, এটি হৃদয়েও এক আনন্দের অনুভূতি জাগায়।

খেজুর নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেক প্রশংসা শোনা যায়, কিন্তু আসলে কতটুকু বিশ্বাস করা যায় এই প্রশংসার কথাবার্তা? অনেকে বলে থাকেন যে খেজুর খুবই পুষ্টিকর, তবে কি তা সত্যি অন্যান্য ফলের তুলনায় ব্যাপকভাবে উত্তম? সত্যি বলতে, খেজুরের গুণাগুণ সম্পর্কে যা কিছু বলা হয়ে থাকে, তার বেশিরভাগই হয়তো আতিশয্য মাত্র।

খেজুর একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাদ্য, যা শুধুমাত্র স্বাদে নয়, পুষ্টিগুণেও অনন্য। এর ব্যাপক পুষ্টিগুণ শরীরের জন্য অপরিসীম উপকার বয়ে আনে, যা প্রতিদিনের খাদ্য তালিকাতে একে অপরিহার্য উপাদান করে তোলে।

খেজুর এক ধরনের তালজাতীয় শাখাবিহীন বৃক্ষ। এর বৈজ্ঞানিক নাম ফিনিক্স ড্যাকটিলিফেরা । মানব সভ্যতার ইতিহাসে সুমিষ্ট ফল হিসেবে এর গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ায় অনেক বছর পূর্ব থেকেই এর চাষাবাদ হয়ে আসছে। এ গাছটি প্রধানত মরু এলাকায় ভাল জন্মে। খেজুর গাছের ফলকে খেজুররূপে আখ্যায়িত করা হয়

খেজুর এক ধরনের তালজাতীয় শাখাবিহীন বৃক্ষ। এর বৈজ্ঞানিক নাম ফিনিক্স ড্যাকটিলিফেরা । মানব সভ্যতার ইতিহাসে সুমিষ্ট ফল হিসেবে এর গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ায় অনেক বছর পূর্ব থেকেই এর চাষাবাদ হয়ে আসছে। এ গাছটি প্রধানত মরু এলাকায় ভাল জন্মে। খেজুর গাছের ফলকে খেজুররূপে আখ্যায়িত করা হয়।

খেজুর হল এক অপূর্ব শাখাবিহীন বৃক্ষ, যা তালগোত্রের অধিকারী। ইহার বৈজ্ঞানিক নাম ফিনিক্স ড্যাকটিলিফেরা। মধুর ও মোহময় এই ফলটির প্রতি মানুষের অকৃত্রিম ভালবাসা থেকেই প্রাচীন যুগ থেকে এর চাষাবাদ চলে আসছে। খেজুর গাছ মূলত শুষ্ক ও মরুভূমির এলাকায় ফলপ্রসূভাবে জন্মে থাকে। এর সুস্বাদু ফলকে উপমহাদেশে সবাই ‘খেজুর’ নামে চেনে।

৫ বাদাম

বাদাম

প্রকৃতিক ভাবে অধিকাংশ ফল থেকে বীজ বেরিয়ে আসে কিন্তু বাদামের বেলায় এটা ঘটে না। এদের থাকে শক্ত খোসার প্রাচীর এবং উৎপন্ন হয় যৌগিক বীজকোষ থেকে। তবে সচারাচার কোন শক্ত খোসাযুক্ত ভোজ্য বীজ বা শাঁসবীজকে বাদাম বলে। বাদাম একটি উচ্চ শক্তির এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য উৎস।

বাদাম কেন খাবেন, দিনে কতটুকু খাওয়া উচিত ?

বাদাম একটি মুখরোচক খাদ্য। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি এর রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। চিনাবাদাম, কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদামসহ সব ধরনের বাদামে অনেক উপাদান আছে, যা শরীরের জন্য উপকারী। বাদামের পুষ্টি বাদামে আছে প্রচুর মনো ও পলি অ্যানস্যাচুরেটেড ফ্যাটস, প্রোটিন ও ডায়েটারি ফাইবার যা রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। প্রধানত ভিটামিন ই, ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স এবং আরও কিছু মিনারেলস যেমন ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন জিংক ও ম্যাঙ্গানিজ, কপার, সেলেনিয়াম আছে বাদামে।

স্বাস্থ্য উপকারিতা

  • বাদাম হৃদপিণ্ড ও রক্তের ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়
  • হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে সাহায্য করে
  • চোখ, ত্বক, হাড় ও দাঁতের গঠনে সাহায্য  করে
  • হজম প্রক্রিয়া মজবুত করে
  • মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে, স্মৃতিশক্তি বাড়ায়  
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। ওজন কমাতে সাহায্য করে
  • বিভিন্ন ধরনের ফাংগাল ও ভাইরাল ইনফেকশন প্রতিরোধ করে
  • ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে

বাদামের গুণ

কথায় বলে পুষ্টির খনি বাদাম। এতে রয়েছে হেলদি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি, ম্যাগনেশিয়াম, রাইবোফ্লেবিন, কপার, আয়রন, পটাশিয়াম, জিঙ্ক, নিয়াসিন, থিয়ামিন ও ফোলেট সহ একাধিক পুষ্টি গুণ। এছাড়া রয়েছে উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন। বলতে গেলে এক খাবারেই মিটবে দেহের নানা ঘাটতি। একাধিক পুষ্টিগুণের খনি বাদাম। ফলে বাদাম খেলেই গোটা শরীরে একটা অদ্ভুত এনার্জি আসে। বাদামে থাকা মিনারেলস মস্তিষ্কেও যোগায় পুষ্টি। ফেলুদার ভাষায় বলতে গেলে মগজাস্ত্রে দেয় শান। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় ত্বক ও চুলের জন্যেও দারুণ উপকারী আমন্ড।

৬ বিস্কুট

বিস্কুট হলো ময়দা-ভিত্তিক এক প্রকার খাদ্য। উত্তর আমেরিকার বাইরে বিস্কুট সাধারণত শক্ত, চেপ্টা এবং ঈস্ট ছাড়াই তৈরি করা হয়ে থাকে; উত্তর আমেরিকায় বিস্কুট নরম হয় এবং ঈস্টযোগে তৈরি করা হয়ে থাকে।

বিস্কুট খাওয়ার উপকারিতা

 সকাল-বিকেল বিস্কুট খাচ্ছেন? শরীরের ক্ষতি করছেন না উপকার?

সকালে চা দিয়ে। সন্ধ্যায় কফির সঙ্গে। একটি বিস্কুট না হলে যেন একেবারেই জমে না। অনেকে আবার টিফিনেও বিস্কুট খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু বিস্কুট অতিরিক্ত খাওয়া…

৭ নিমকি

নিমকি বা নিমকিন, এছাড়াও নমক পারা নামে পরিচিত এই কুড়কুড়ে সুস্বাদু খাবারটির উৎপত্তি হয়েছে ভারতীয় উপমহাদেশে। রাজস্থান এবং পাঞ্জাব ও উত্তর প্রদেশের কিছু অংশে মাঠরি বলে যে খাদ্যবস্তুটি প্রস্তুত হয় তার সাথে নিমকির অনেক সাদৃশ্য আছে।

নিমকি ময়দা দিয়ে তৈরি একটি খুবই হাল্কা এবং মুখরোচক খাবার। একবার মুচমুচে কুচো নিমকি খেতে শুরু করলে সহজে থামা যায় না। খুবই জনপ্রিয় এই নিমকি বানানোর উপকরণ এবং প্রণালি দেখে নেওয়া যাক।

উপকরণ : ময়ানের জন্য, দুই কাপ ময়দা, দুই চা চামচ তেল, ১ চা চামচ লবণ, ১/২ চামচ চিনি, ১ চা চামচ কালো জিরা, ১/২ কাপ পানি, ভাজার জন্য ২ কাপ তেল।

প্রণালি : একটি বড় পাত্রে পানি বাদে ময়ানের জন্য বাকি সব উপকরণ- ময়দা, তেল, লবণ, চিনি এবং কালো জিরা নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার খুব অল্প অল্প করে পানি নিয়ে সব উপকরণ একসাথে মাখতে থাকুন। যতক্ষণ না আপনার আঙুল থেকে সব ময়দা ছেড়ে যাচ্ছে এবং মাখা ময়দার তালটা সুন্দর মসৃণ নরম হচ্ছে, ততক্ষণ মাখতে থাকুন। প্রায় ৫-৬ মিনিট ধরে মাখলে তবে আপনার পছন্দসই মাখা হবে

মাখা ময়দার তালটা একটা ভেজা সুতির কাপড় জড়িয়ে অন্তত আধ ঘণ্টা রেখে দিন। এবার চাকী বেলুনে সামান্য শুকনো ময়দা ছড়িয়ে নিন। এবার ময়দার তালটির থেকে ৫-৬টি সমান মাপের লেচি কেটে নিন। এবার এক একটি লেচি শুকনো ময়দা ছড়ানো চাকির উপর রেখে পাতলা বড় রুটির আকারে বেলে নিন। এক একটি রুটি বেলা হয়ে গেলে প্রতিটি রুটি একটি ছুরি দিয়ে অনেক ছোট ছোট বরফির আকারে কেটে নিন।

কড়াইয়ে ভাজার জন্য দুই কাপ তেল কড়াইয়ে ঢেলে গরম হতে দিন। তেল গরম হলে মাঝারি আঁচে বরফির আকারে কেটে নেওয়া ময়দার টুকরোগুলো ডুবো তেলে ভেজে তুলুন। ভাজা কুচো নিমকির টুকরোগুলো পেপার টাওয়েলের উপর ছড়িয়ে দিন, অতিরিক্ত তেল বেরিয়ে গিয়ে নিমকিগুলো মুচমুচে হবে।

৮ পেটিস

দারুণ মজাদার চিকেন পেটিস !

উপকরণ আর প্রণালী দেখে ভয় পেয়ে যাবেন না  যেন! মজাদার এই চিকেন পেটিসটি তৈরি করতে একটু ধৈর্যের  প্রয়োজন। তবে চলুন দেখে নিই কীভাবে তৈরি করতে হয় চিকেন পেটিস।


খামিরের রেসিপি জন্য

  • ময়দা ২ কাপ
  • বাটার ১ কাপ
  • বেকিং পাউডার ১/২ চা চামচ
  • লবন ১ ১/২ চা চামচ

পাফ খামির বানানোর নিয়ম

বাটারটা নরমাল টেম্পারেচারে ২/৩ ঘন্টা রেখে একটু নরম করে নিন। ময়দা, বেকিং পাউডার, লবন আর ১/২ কাপ ঠান্ডা পানি মিশিয়ে মথে নিন। ভাল করে মথে নিয়ে খামিরটা ১৫ মিনিট ভিজা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। ১৫ মিনিট পর পিড়িতে ময়দা ছিটিয়ে ১/৪ সে.মি. পুরু করে বেলে নেবেন। মাঝখানে বাটার সবটা রাখুন এবং সমান ভাবে চারিদিকে ছড়িয়ে দিন। যেন কিনারায় ১ ইঞ্চি পরিমান খালি থাকে। এবার পরোটার মত চার ভাজ করে নিন। তারপর একটা বর প্লেটএ কাপড় দিয়ে ঢেকে অথবা ফোয়েল পেপার দিয়ে মুরে নিয়ে রেফ্রিজারেটরে রেখে দিন। ঠান্ডা জায়গায় রাখলেও হবে। আবার ১৫ মিনিট পরে রেফ্রিজারেটর থেকে খামির নামিয়ে পিড়িতে ময়দা ছিটিয়ে তার উপর রাখুন। খামির শক্ত হলে বেলনি দিয়ে পিটিয়ে বড় করুন এবং আবার বেলে নিয়ে আগের মত শুধু ভাজ করুন। আবার রেফ্রিজারেটরে রাখুন। ১৫ মিনিট পর আবারও একইভাবে পিটিয়ে বেলে বড় করে নিন। এবার ৮ ভাজ করুন এবং শেষবারের মত রেফ্রিজারেটরে রেখে দিন। কমপক্ষে ১-২ ঘন্টা রাখতে হবে এবং তারপর থেকে যে কোনো সময় বানাতে পারেন। এই খামির দিয়ে,বীফ প্যাটিস, চিকেন প্যাটিস, ক্রীমরোল ইত্যাদি তৈরী করতে পারেন।

পুর বানানোর জন্য রেসেপি

  • চিকেন কিমা ৩ পাউন্ড
  • পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ
  • আদা/রসুন একসাথে ব্ল্য্যান্ড করা ১ চা চামচ
  • লবন ১ চা চামচ
  • গরম-মসল্লা পাউডার ১/২ চা চামচ
  • ধনে ১/২ চা চামচ
  • জিরা ১/২ চাচামচ
  • চাট-মসল্লা ১ টেবিল চামচ
  • কাঁচা-মরিচ ৫/৬ টা
  • ধনেপাতা ১/২ কাপ
  • পেঁয়াজ বেরেস্তা ১/২ কাপ
  • বাটার অথবা তেল ৩ টেবিল চামচ
  • একটা বড় ডিম (ব্রাশ করার জন্য)

পুর তৈরী নিয়ম

কড়াইতে বাটার বা তেল গরম করে পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে ব্রাউন করে ভাজতে হবে। সব মসল্লা দিয়ে একটু ভেজে সামান্য একটু পানি দিন একটা বলগ আসতে দিন। চিকেন কিমাটা দিয়ে ভাল করে নাড়তে থাকতে হবে .. যেন জমাট বেধে না যায়। ৩/৪ মিনিট পর ধনেপাতা দিয়ে আবারও ৩/৪ মিনিটের জন্য ঢেকে রেখে দিন অল্প আচে। ওভেনে ২০০ সে: তাপ দিন। খামির একটু নরম করে নিয়ে ১/২ সে.মি. করে বেলে পরটার মত স্কুয়ার (৬ x ৬সে.মি.) করে কেটে নেবেন। প্রতিটা টুকরার কিনার ফেটানো ডিম ব্রাশ করে দিন এবং মাঝখানে ১ টেবিল চামচ পুর দিয়ে অর্ধেকটায় একটু ছড়িয়ে দিন।তারপর টুকরোটার বাকি অর্ধেকটা টেনে এনে পুর ঢেকে দিন.তারপর সব গুলাতে ডিম ব্রাশ করে দিন ,১৮০ ডিগ্রী তে প্রি হিট ওভেন এ ১৫ থেকে ২০ মিনিট বেক করে নিন।

৯ খুরমা

খুরমা (khurma recipe in Bengali)

উপাদানগুলি

  1. 250 গ্রাম ময়দা 
  2. স্বাদমতোলবণ 
  3. 1/2চা চামচ
  4. সোডিয়াম বাইকার্বনেট
  5. 1টেবিল চামচ ঘি
  6. 1বাটিচিনির 
  7. পরিমাণ মতো ভাজার জন্য রিফাইন তেল

১০ রুটি

রুটি ভারতীয় উপমহাদেশের একটি গোলাকার ফ্ল্যাটব্রেড নেটিভ যা পাথরের মাঠের আস্তর ময়দা থেকে তৈরি, ঐতিহ্যগতভাবে আটার রুটি নামে পরিচিত। যা জল এবং ময়দার সাথে মিলিত হয়ে তৈরি হয়। 

রুটি অনেকক্ষণ পর্যন্ত নরম রাখা যায় কী ভাবে? রইল সহজ কৌশল…

আসলে আটা মাখার কৌশলই হল আসল। কখনও বেশি জল পড়ে কাদা-কাদা তো কখনও আবার শক্ত ইঁট। ফলে রুটি (Roti) বানাতে গিয়ে মাথার ঘাম পায়ে পড়েনি এমন মানুষের দেখা পাওয়া ভার। কারোর আবার রুটি (Roti) ফুললেও খানিক বাদেই তা চুপসে যায়। সব মিলিয়ে রুটি নিয়ে সমস্যার শেষ নেই। তাই কী ভাবে রুটি নরম রাখবেন রইল তার টিপস।

ভুষিযুক্ত আটা ব্যবহার করলে রুটি নরম হতে পারে। কারণ, এর মধ্যে ফাইবার থাকে বেশি পরিমাণে।আটার মধ্যে এক চিমটে নুন দিন। এক চামচ সাদা তেল দিন (১০ টা রুটি বানালে এক চামচ)।এবার ইষদুষ্ণ গরম জল দিয়ে মেখে ফেলুন। গরম জলে রুটি মাখলে রুটি যেমন নরম হয় তেমনই হজমেও সাহায্য করে। আর সেই রুটির স্বাদও অন্যরকম হয়।তবে আটার ডো খুব বেশি করে শক্ত মাখবেন না। আবার খুব নরমও নয়। মাঝারি মাখুন। মাখা ভালো হয়েছে তখনই বুঝবেন যদি আঙুলে একটুও না লাগে।আটা মাখা হলে অন্তত ১৫ মিনিট ঢাকা দিয়ে রাখুন। খুব বেশি ৩০ মিনিট রাখবেন। তার বেশি রাখলে কিন্তু আটা নরম হয়ে যাবে। তখন বেলতে সমস্যা হবে।লেচি ছোট ছোট কাটবেন। তাহলে বেলা পাতলা হবে। বড় লেচি হলে রুটি মোটা হয়ে যাবে। আর পাতলা রুটি হলে তবেই ভালো ফুলবে।তাওয়া আগে থেকেই গ্যাসে বসিয়ে গরম করে রাখুন। এবার দু পিঠ ভালো করে সেঁকে নিন। তাহলে দেখবেন জালি ব্যবহার না করলেও রুটি ফুলবে। তারপর ক্যাসারলে ভরে ফেলুন।

রুটি (Roti) কেন শক্ত হয়?

  1. আটা মাখার সময় আমরা ১৫ থেকে ২০ শতাংশ জল ব্যবহার করি। আটায় থাকে কার্বোহাইড্রেট, অ্যালবুমিন, ডায়েটারি ফাইবার এবং স্টার্চ। রুটি সেঁকার সময় জল ও আটার এই উপাদানগুলি একসঙ্গে মিশে একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া শুরু হয়।
  2. রুটি কখনই দ্বিতীয়বার গরম করবেন না। তাহলে তা আরও শক্ত হয়ে যাবে।
  3. রুটি সেঁকা হলে ওই তাওয়ায় সামান্য জল দিন। রুটিগুলো একবার ভিজিয়েই উঠিয়ে নিন। তারপর হটপটে রাখুন।
  4. এছাড়াও তাওয়া থেকে রুটি নামিয়ে একটি পাত্রে ভেজা কাপড় জড়িয়েও রুটি রেখে দিতে পারেন। তাতেও নরম থাকবে।
  5. মাখন রুটি বানাতে পারেন। গরম অবস্থাতেই মাখন বুলিয়ে দিন। তাহলে রুটি ভালো থাকবে।
  6. অফিসে যদি লাঞ্চে রুটি নিয়ে যান তাহলে গরম রুটি সঙ্গে সঙ্গেই ফয়েল প্যাকে মুড়ে ফেলুন। এতে রুটি অনেকক্ষণ পর্যন্ত নরম থাকবে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*