১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের ৫৩ তম বিজয় দিবস উদযাপন

অভিনন্দন জানাচ্ছি তাদের ৫৩ তম বিজয় দিবসের জন্য ।এই বাঙ্গালীদের কাছে একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিন।পাকিস্তানের থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশীদের জয়কে উদযাপনের জন্য। যুদ্ধের সমাপ্তির ফলশ্রুতিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একতরফা ও নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে এবং পরবর্তীকালে পূর্ব পাকিস্তান পাকিস্তান রাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ গঠিত হয়। তারা দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে তাদের দেশকে স্বাধীন করেছিল। এতে প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ,২ লাখ মা-বোন সম্ভ্রম হারিয়েছেন এবং আহত হওয়ার সংখ্যা শহীদের চেয়েও অনেক বেশি। ও অসংখ্য মানুষ ঘর ছাড়া হয়েছিল। অবশেষে পাকিস্তানিরা ১৬ই ডিসেম্বর রেসকোর্স ময়দানে বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আত্মসমর্পণ করে। এবং এই দিনই বাঙালিরা তাদের বিজয় অর্জন করে এবং সে থেকেই তারা প্রতিবছর এই দিনটিকে জাঁকজমকভাবে পালন করে থাকে। এ দিনে বাঙালিরা একদিন আগে হতেই এই দিনটি উদযাপন করার জন্য প্রস্তুত হয়ে থাকেন সকাল সাতটার মধ্যেই সকল স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা এবং শিক্ষক তাদের স্কুল ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয় এবং রেলির জন্য প্রস্তুত হয় একটি লাইনে দাঁড়িয়ে তারপর শিক্ষকদের নেতৃত্বে তারা রেলি করে আগে থেকে নির্বাচন করা জায়গায় উপস্থিত হয়। অন্যদিকে সকল অফিসের কর্মকর্তারা এবং চাকরিজীবীরা সকাল সাতটা এর মধ্যেই তাদের কর্মস্থানে উপস্থিত হন এবং তাদের সমিতির নেতৃবৃন্দদের নির্দেশনায় একটি নির্দিষ্ট স্থানে উপস্থিত হন এবং প্রস্তুত হয়ে ওই নির্দিষ্ট জায়গায় উপস্থিত হন। আর ওই নির্দিষ্ট স্থান মাটি তার আগে থেকেই ঝাঁকজমক ভাবে সাজিয়ে তোলেন তারা মাঠ থেকে প্যারেডের জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত করে রাখেন এরপর সকাল ১০ ঘটিকার সময় উপস্থিত প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি বৃন্দ মাঠে প্রবেশ করেন। প্রধান অতিথি পায়রা পাখি ও বেলুন উত্তরণের ও কুরআন তেলাওয়াত গীতা ও শপথের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করে হয় এরপর প্রধান অতিথি তার ভাষণ দেন ও বিশেষ অতিথিদেরাও ভাষণ দেওয়ার সুযোগ পান তারপর পরপরই একে একে সকল স্কুলের প্যারেড দল তাদের ব্যান্ড পার্টির সাথে ওই মাঠে প্রবেশ করে। তারপর ওই উপজেলার সকল স্কুল একে একে তাদের পরিবেশনায উপস্থিত করেন। এরপর প্যারেড শেষ হলে আয়োজন করা হয় নাচ-গান এবং ডিসপ্লের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান চলাকালীন দর্শকরা আশেপাশে জড়ো হওয়া দোকান (বিজয় দিবস উপলক্ষে ওই মাঠের আশেপাশে অনেক দোকান বসে থাকে)থেকে খাবার না এবং অনুষ্ঠানটি উপভোগ করে।এই অনুষ্ঠানে প্রচুর লোক অংশগ্রহণ করে থাকেন। এরপর বিকেল ১ ঘটিকার সময় বিরতি দেওয়া হয় আবার তিন ঘড়িকার সময় যেমন খুশি তেমন সাজার মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি পুনরায় শুরু হয়। এ যেমন খুশি তেমন সাজায় যে কেউ অংশগ্রহণ করতে পারে এতে একজন তার ইচ্ছামতন সেজে থাকে হ্যালোইনের মতন এতে কেউ মুক্তিযোদ্ধা সাজে কেউ প্রধানমন্ত্রী সাজে কেউ ডাক্তার সাজে কেউ মূর্তি সাজে কেউ আবার পুলিশ অথবা সেনাবাহিনী সাজে এ অনুষ্ঠানটি শেষ হওয়ার পর পুরস্কার বিতরণের সময় হয়। এ সময় প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবিন্দের মতের সাথে বিজয়ী কে নির্বাচন করেন এবং আয়োজিত সকল অনুষ্ঠানের(প্যারেড, কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে, নাচ, গান, ভাষণ, বক্তিতা, কবিতা আবৃত্তি, গজল, যেমন খুশি তেমন সাজো ইত্যাদি)পুরস্কার বিতরণ করেন। এরপর প্রধান অতিথির ভাষণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। এটি বাঙ্গালীদের জন্য একটি ঐতিহ্যপূর্ণ এবং সার্বভৌমত্বপূর্ণ একটি দিন। এটির মাধ্যমে তারা তাদের বিজয় উপভোগ করে এবং তারা এটিকে খুব ঝাঁকজমক ভাবে উদযাপন করে।
Md Farhan
Weiter,