সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত

Al-Quran এর দ্বিতীয় সূরা হলো সূরা বাকারা। কোরআনুল কারীমের সবচেয়ে বড় সুরা হলো সূরা বাকারা। যার আয়াত সংখ্যা হলো ২৮৬। বাকারা সূরা মক্কায় অবতীর্ণ হয়। Quran এর প্রত্যেকটি সূরার ফজিলত রয়েছে। সে হিসাবে Sura Bakara এর ফজিলত রয়েছে।
অনেকে সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত সম্পর্কে জানতে চায়। আবার কেউ কেউ সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত ফজিলত লিখেও সার্চ করে। গুগলে সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস জানতে চান। আমরা একনজরে দেখে নি এই পোস্টে আপনারা কি কি জানতে পারবেন।
- সূরা বাকারার পরিচয়।
- সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত আরবি ও অর্থ।
- সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত।
- সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের আমল।
- সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস।
- সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত নিয়ে সর্বশেষ কথা।
সূরা বাকারার পরিচয়
সূরা বাকারার প্রসঙ্গ আসলে আগে জানতে হবে সুরা বাকারার পরিচয় সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেই সুরা বাকারা পরিচয় সম্পর্কে। আমি আগেই বলেছি সূরা বাকারা কোরআনের ২ নাম্বার সূরা। কোরআনে বড় সূরা দিয়ে বাকারায় প্রথম। সূরাটি মক্কায় নাজিল হয়। এটির আয়াত ২৮৬ টি। সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত হলো ২৮৫ ও ২৮৬ নং আয়াত।
সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত আরবি ও অর্থ
ءَامَنَ ٱلرَّسُولُ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيْهِ مِن رَّبِّهِۦ وَٱلْمُؤْمِنُونَ كُلٌّ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَمَلَٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّن رُّسُلِهِۦ وَقَالُوا۟ سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ ٱلْمَصِيرُ
আল-কোরআন,সূরার ফজিলত
لَا يُكَلِّفُ ٱللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا ٱكْتَسَبَتْ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَآ إِن نَّسِينَآ أَوْ أَخْطَأْنَا رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَآ إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُۥ عَلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِنَا رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِۦ وَٱعْفُ عَنَّا وَٱغْفِرْ لَنَا وَٱرْحَمْنَآ أَنتَ مَوْلَىٰنَا فَٱنصُرْنَا عَلَى ٱلْقَوْمِ ٱلْكَٰفِرِينَ
অনুবাদঃ নবী বিশ্বাস করেন যা তাঁর প্রতি তাঁর পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে, এবং সমস্ত মুসলমান আল্লাহ, তাঁর ফেরেশতা, তাঁর কিতাব এবং তাঁর নবীদের উপর বিশ্বাস করে। তারা বলে আমরা তাঁর রসূলদের মধ্যে কোন পার্থক্য করি না। তারা বলে, আমরা শুনেছি এবং মেনে নিয়েছি। হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা তোমার কাছে ক্ষমা চাই। তোমাকে নিজের কাছে ফিরে যেতে হবে।
আল্লাহ কাউকে তার সামর্থ্যের বাইরে কাজের বোঝা চাপিয়ে দেন না, সে যা অর্জন করে তাই পায় এবং সে যা করে তা তার উপরই বর্তায়। হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা যদি ভুলে যাই বা ভুল করি তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! আর আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করবেন না যেভাবে আপনি আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছিলেন, হে আমাদের পালনকর্তা! আর আমাদের দ্বারা সেই বোঝা বহন করবেন না যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই। আমাদের পাপ ক্ষমা করুন। আমাদের ক্ষমা করুন এবং আমাদের প্রতি দয়া করুন। তুমি আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফেরদের বিরুদ্ধে আমাদের সাহায্য করুন। (সূরা বাকারা, আয়াত নাম্বার: ২৮৫-২৮৬)
সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত
সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত হাদিসে অনেক বর্ণনা রয়েছে। যা আমরা নিচে তুলে দরলাম।
- রাসূল সাঃ বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি রাতে সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত তেলাওয়াত করবে। তার জন্য সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত যথেষ্ট হবে।
- জুবাইর ইবনে নুফাইর রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত, নবী করিম সাঃ বলেনঃ মহান আল্লাহ সূরা আল-বাকারার দুটি আয়াত দিয়ে শেষ করেছেন, যেগুলো আমাকে আল্লাহর আরশের নিচের ভান্ডার থেকে দান করা হয়েছে। সুতরাং আপনি এই আয়াত শিখতে হবে. তোমার স্ত্রীদেরও শিক্ষা দেবে। কারণ এই আয়াতগুলো রহমত, (আল্লাহর) নৈকট্য লাভের মাধ্যম এবং (দুনিয়ার সকল দ্বীনের) কল্যাণের জন্য প্রার্থনা।’ [মিশকাত আল-মাসাবীহ: 2173]
- বদরী ছাহাবী আবু মাসউদ (রাঃ) এর সূত্রে। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, সূরা বাকারার শেষে দু’টি আয়াত রয়েছে, যে ব্যক্তি রাতে দু’টি আয়াত পড়বে তার জন্য এ দুটি আয়াতই যথেষ্ট। অর্থাৎ রাতে কুরআন মাজিদ তেলাওয়াতের হক, অন্তত সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করাই তার জন্য যথেষ্ট।’ [সহীহ বুখারীঃ ৪০০৮]
- হজরত আলী রাঃ বলেনঃ আমার মতে যার সামান্য বুদ্ধি আছে, সে সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করা ছাড়া ঘুমাতে যাবে না।
- মুসলিম শরীফ, তাফসীরে মাজহারী কিতাবে উল্লেখ আছে, হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ হতে বর্ণিত, রাসূল সাঃ বলেন, আমাকে সিদরাতুল মুন্তাহায় নিয়ে যাওয়া হলো। আর তিনটি জিনিস আমাকে দান করা হলো। ১. পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ২. সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত ৩. উম্মতে মোহাম্মদীর মধ্যে যারা শিরক করবে না, তাদের কবীরা গুনাহ মাফ হবার সুসংবাদ।
- হজরত নুমান ইবনে বাঁশির রাঃ হতে বর্ণিত, রাসূল সঃ বলেছেন, আসমান ও জমিন সৃষ্টির ২ হাজার বছর আগে আল্লাহ তায়ালা একটি কিতাব লিখেছেন। আর সেই কিতাব হতে আল্লাহ দুইটি আয়াত নাজিল করেন। সে ২ আয়াতের মাধ্যমে সূরা বাকারা শেষ করেছেন। সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত যে ঘরে তেলাওয়াত করা হয়। সে ঘরে শয়তান আসতে পারে না। (তিরমিযী শরীফ, ২৮৮২)
- একব্যক্তি এসে নবী সাঃ কে জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! কোন সূরা সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ? নবী সাঃ বলেন, সূরা ইখলাছ। অতঃপর ঐ ব্যক্তি প্রশ্ন করলেন, কোন আয়াত মর্যাদাপূর্ণ? জবাবে রাসূল সাঃ বললেন,. আয়াতুল কুরসী। পুনরায় ওই ব্যাক্তি আবার বলেন, কোন আয়াতকে আপনি পছন্দ করেন? যার মাধ্যমে আপনি এবং আপনার উম্মাত লাভবান হবে? উত্তরে আল্লাহর নবী বলেন, সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত।
সর্বশেষ কথা
উপরে উল্লেখিত হাদিস সমূহ দ্বারা আমরা বুজতে পারলাম, সূরা বাকারা শেষ দুই আয়াতের ফজিলত অপরিসীম। অতএব আমাদের উচিত নিয়মিত সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত তেলাওয়াত করা। এ আয়াত ২ টি পাঠ করলে বিপদ-আপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করার তওফিক দান করুন। আমিন
tag
সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত
সূরা ফাতিহা ও সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত
সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত বাংলা অর্থসহ
সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত বাংলায়
সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত আরবি
সূরা বাকারার শেষ তিন আয়াতের ফজিলত
সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস
সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের দারস
সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত বাংলা উচ্চারণ সহ pdf
সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত
সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত কি
সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত আল কাউসার
সূরা আল বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত
সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়ার ফজিলত
সূরা বাকারার শেষ আয়াতের ফজিলত
সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়লে কি ফজিলত
সূরা বাকারার শেষ ৩ আয়াতের ফজিলত
সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত (২৮৫-২৮৬)
Tag: সূরা বাকারার পরিচয়, সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত আরবি ও অর্থ, সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত, সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের আমল, সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস, সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতের ফজিলত নিয়ে সর্বশেষ কথা, surah baqarah last 2 ayat bangla